মুম্বই: আরও জটিল হয়ে উঠছে মুকেশ অম্বানী(Mukesh Ambani)-র বাড়ির সামনে বিস্ফোরক উদ্ধারের তদন্ত। যেই গাড়ি থেকে জিলেটিন স্টিক (Gelatin Stick) ও ডিটোনেটর (Detonator) উদ্ধার হয়েছিল, সম্প্রতি তার মালিক মনসুখ হিরেনের মৃতদেহ একটি ডোবা থেকে উদ্ধার হয়। এরপরই মৃতের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়, তদন্তকারী অফিসার সচিন ভাজে় (Sachin Vaze) নভেম্বর মাস থেকে ওই গাড়িটি ব্যবহার করছিলেন। এরপরই মুম্বইয়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চ থেকে তাঁকে স্পেশাল ব্রাঞ্চে বদলি করে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই তিনি আগাম জামিনের আবেদনও করেছেন। এবার হোয়াটসঅ্যাপের স্টেটাসে লিখলেন, “পৃথিবীকে বিদায় জানানোর সময় এসে গিয়েছে।”
মুকেশ অম্বানীর বাড়ি “অ্যান্টিলিয়া”(Antilia)-র সামনে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি উদ্ধারের তদন্ত নেমেই সূত্র ধরে মনসুখ হিরেনের কাছে পৌঁছেছিল মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখা। মনসুখকে জেরার কয়েকদিন পরেই ৫ মার্চ তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয় একটি ডোবা থেকে। এরপরই মনসুখের পরিবার অভিযোগ করেন, ওই স্করপিও গাড়িটি গতবছরের নভেম্বর মাস থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি অবধি ব্যবহার করেছিলেন তদন্তকারী অফিসার সচিন ভাজ়ে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাঁর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর (FIR) দায়ের করা হয়। শুক্রবারই তিনি থানে সেশন আদালত থেকে তিনি আগাম জামিনের (Anticipatory Bail) আর্জি জানান।
আরও পড়ুন: ‘নিয়ম না মানলে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হবে’, নতুন প্রোটোকল তৈরি করল কেন্দ্র
এদিকে, তদন্তের মাঝেই সচিনের হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাস নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য। শনিবার সকালেই সচিন তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ স্টেটাসে লেখেন, “৩ মার্চ, ২০০৪। সিআইডির কয়েকজন অফিসার আমায় একটি ভুয়ো মামলায় গ্রেফতার করে। সেই মামলার আজ অবধি নিষ্পত্তি হয়নি। আমার মনে হচ্ছে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। সহকর্মীরাই আমায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তবে এইবারে সামান্য পার্থক্য রয়েছে। তখন আমার হাতে ১৭ বছর কর্মজীবন, অনেক আশা, ধৈর্য্য ছিল। এখন আমার সেই ধৈর্য্যও নেই, আর কর্মজীবনের মেয়াদও নেই। আমার মনে হচ্ছে পৃথিবীকে বিদায় জানানোর সময় এসে গিয়েছে।”
অন্যদিকে, বিস্ফোরক রাখার পিছনে কার হাত রয়েছে, তা নিয়েও ঘনীভূত হয়েছে রহস্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গি সংগঠন জইশ-উল-হিন্দ(Jaish-ul-Hind)-র নামে দায় স্বীকার করা হলেও ফোনের লোকেশন ট্রাক করে তা তিহার জেলের আশেপাশে রয়েছে দেখা গিয়েছে। এরপরই তিহার জেল (Tihar Jail) কর্তৃপক্ষ ইন্ডিয়ান মুজাহিদ্দিন জঙ্গির সেল থেকে মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: করোনার চোখরাঙানি! মহারাষ্ট্রের পর লকডাউনের পথে মধ্য প্রদেশও