G Kishan Reddy: দিল্লিতে AAP হারতেই তলে তলে দোস্তি হয়ে গেল ২ দলের? বড় তথ্য ফাঁস করলেন জি কিষাণ রেড্ডি

BRS-Congress: বিআরএস ও কংগ্রেস যে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ, তা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কটাক্ষের সুরে বলেন, "পার্টনার ইন ক্রাইম আম আদমি পার্টি দিল্লিতে হেরে যেতেই ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়ল। পুরনো বন্ধুরা আবার এক হতে চলেছে।"

G Kishan Reddy: দিল্লিতে AAP হারতেই তলে তলে দোস্তি হয়ে গেল ২ দলের? বড় তথ্য ফাঁস করলেন জি কিষাণ রেড্ডি
জি কিষাণ রেড্ডি।Image Credit source: X

|

Feb 10, 2025 | 8:35 AM

হায়দরাবাদ: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টি হারতেই বদলে যাচ্ছে বিভিন্ন দলের মধ্যে সমীকরণ?  এমনই ইঙ্গিত মিলল তেলঙ্গনার ভারত রাষ্ট্র সমিতির কার্যকরী সভাপতি কেটিআরের মন্তব্যে। যে কংগ্রেসের সঙ্গে এতদিন আদায়-কাচকলায় সম্পর্ক ছিল, তাদেরই নেতা রাহুল গান্ধীকে প্রকাশ্যে প্রস্তাব দিলেন জোট বাধার জন্য। এভাবে ক্ষণে ক্ষণে রং বদল নিয়ে ছেড়ে কথা বললেন না কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ জি কিষাণ রেড্ডি।

বিআরএস ও কংগ্রেস যে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ, তা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কটাক্ষের সুরে বলেন, “পার্টনার ইন ক্রাইম আম আদমি পার্টি দিল্লিতে হেরে যেতেই ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়ল। পুরনো বন্ধুরা আবার এক হতে চলেছে। কেসিআর (কে চন্দ্রশেখর রাও) কংগ্রেসের হাত ধরেই যাত্রা শুরু করেছিলেন। ২০০৪ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে লড়েছিলেন এবং ইউপিএ জমানায় মন্ত্রীও হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে কংগ্রেসের সঙ্গে টিআরএস (বর্তমানে বিআরএস) পার্টি একত্রিত করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। যেহেতু দেওয়াল লেখন ছিল এটা, তাই আবারও কংগ্রেসের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করছেন।”

বিজেপি প্রথম থেকেই বলে আসছিল বিআরএস এবং কংগ্রেস এক। সেই দাবি সত্যি প্রমাণ হল, এ কথাই বলেন জি কিষাণ রেড্ডি । তিনি আরও লেখেন, “একই পালকের পাখিরা একসঙ্গেই ওড়ে। দুর্নীতি, সংখ্যালঘুদের বঞ্চিত করা, পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি, ক্ষমতার লোভ- এগুলি সবই দুই দলের মধ্যে রয়েছে। মিম তাদের এই বন্ধুত্বে সাহায্য করেছে।”

বিআরএস-কংগ্রেসের ‘দোস্তি’র উদাহরণ দিতে বিজেপি সাংসদ জানান যে কীভাবে গরিব মানুষদের দুই কামরার ঘরের জন্য জমি না দিলেও, কংগ্রেসকে মাত্র ২ লক্ষ টাকায় ১০ একর জমি দিয়ে দিয়েছে বিআরএস। লোকসভা নির্বাচন এবং তার আগে তেলঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে কেটিআর বিজেপির বিরুদ্ধে যে জোট সরকার গড়ার কথা বলত, তা আসলে কংগ্রেস-বিআরএসের জোট বলেই আক্রমণ করেন তিনি।

কটাক্ষ করে রে়ড্ডি বলেন, “বিআরএস বিধায়করা ইস্তফা না দিয়েই কংগ্রেসে রয়েছেন, ঠিক যেমন কংগ্রেসের বিধায়করা বিআরএস দলে ছিল। সংসদে ২০২৩ সালে বিআরএস ও কংগ্রেস একসঙ্গে অনাস্থা ভোট দিয়েছিল। এখন অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিরোধিতা করছে।”