
নয়াদিল্লি: সিঁদুরে সাফল্যের নেপথ্য়ে প্রতিদান শুধু সেনারই নয়, রয়েছে বিএসএফ-রও। যখন রাতের অন্ধকারে ভারতে হামলা চালিয়েছে পাক সেনা। ঢুকে পড়েছে ড্রোন। ঢোকার চেষ্টা চালিয়েছে পাক রেঞ্জাররা। সেই সময় তাদের প্রতিহত করেছে সীমান্তরক্ষীরা। মঙ্গলবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে এই কথা বললেন বিএসএফ-এর কর্তারা। পাশাপাশি, অপারেশন সিঁদুরের আরও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে তারা।
সাংবাদিক বৈঠকে কী জানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী? গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়েই সচেতন হয়ে যায় BSF। মোতায়েন হয় বাড়তি সীমান্তরক্ষী। এরপর ভারতের প্রত্যাঘাতের পর দিন জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্বা, শিয়ালকোট এলাকা দিয়ে প্রচুর অনুপ্রবেশকারী ঢোকানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। চলে ড্রোন হামলা। কিন্তু তাদের রুখে দেয় ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা।
বিএসএফ জানিয়েছে, পাকিস্তানের হামলা হজম করেই থেমে যায়নি তারা। এরপর শুরু হয় পাল্টা প্রত্য়াঘাত। একের পর এক পাক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় তারা। সীমান্তরক্ষীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই প্রত্যাঘাতে কমপক্ষে ৫০-এর উপরে পাক রেঞ্জার মেরেছে তারা। ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের লুনিতে থাকা লস্করদের জঙ্গি ঘাঁটি ও আর এস পুরার একটি সেনা ছাউনিও।
বিএসএফ-এর ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল এস এস মান্দ জানিয়েছেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের বদলা নিতে পাকিস্তান এপারে জঙ্গি চালানের চেষ্টা করছিল। ৮ই মে মধ্যরাতে ৪০ থেকে ৫০ জন সন্ত্রাসবাদীদের একটি দল ভারতীয় সীমান্ত হয়ে অনুপ্রবেশেরও চেষ্টা করে। কিন্তু সীমান্তরক্ষীদের আগ্রাসনের সামনে টিকতে পারে না তারা।’ এই সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিএসএফ-র আরও এক ইন্সপেক্টর জেনারেল শশাঙ্ক আনন্দ জম্মু-কাশ্মীরের সাম্বা-সহ আরও দুই সেনা ঘাঁটির নাম বদলে ‘সিঁদুর’ করার প্রস্তাব দেন।