BSF training: পাক ড্রোনের অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষকে প্রশিক্ষণ বিএসএফের
BSF Border; সীমান্তে নজরদারির জন্য সদা সতর্ক থাকে বিএসএফ। পাশাপাশি নজরদারি স্বার্থে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হয়।
নয়া দিল্লি: সীমান্তের গণ্ডি পেরিয়ে অনেক সময়ই ভারতীয় ভূখণ্ডে বেআইনি অনুপ্রবেশ করে পাকিস্তানি ড্রোন (drone)। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এই বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। শুধুমাত্র সেনা বাহিনীই নয় দেশকে সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব সকলের। তাই বাহিনীর পাশাপাশি সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদেরও নিজেদের চোখ ও কান হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে বিএসএফ (BSF)। তাই ড্রোনের অনুপ্রবেশ রুখতে হলে যথা সময়ে সেই খবর তাদের কাছে আসা প্রয়োজন। সেই কারণে ভারত-পাক সীমান্তের বাসিন্দাদের বিশেষ প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ১৪০ টি ড্রোন অ্যাওয়ারনেস প্রোগ্রামের (Drone Awareness Program) মাধ্যমে সীমান্তের ড্রোনর বিভিন্ন কার্যকলাপ সম্পর্কে অনেককেই প্রশিক্ষণ দিয়েছে বিএসএফ।
প্রশিক্ষণের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্ক করতে প্রচারও বিএসএফের অন্যতম বড় হাতিয়ার। সেই কারণেই আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর আরএস পুর, আকনূর এবং আর্নিয়া সেক্টরে সীমান্তবর্তী গ্রামে প্রবেশ করার সময়, ড্রোন কার্যকলাপ সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ফ্লেক্স বোর্ডগুলি গ্রামে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুচেনতগড়ের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, “সীমান্তে ড্রোনের কার্যকলাপের ওপর আমরা নজর রাখি। আমাদেরকে এই বিষয় সতর্ক করে জানানো হয়েছে, জঙ্গিদের ব্যবহারের জন্য কীভাবে সীমান্তের ওপার থেকে ড্রোনের মাধ্যমে অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদক সীমান্তের এপারে আমাদের দেশে পাঠানো হয়।”
সীমান্তে নজরদারির জন্য সদা সতর্ক থাকে বিএসএফ। পাশাপাশি নজরদারি স্বার্থে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিও ব্যবহার করা হয়। সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষদের প্রশিক্ষণের ফলে তারা এখন বাহিনীর তৃতীয় চোখ হিসেবে কাজ করবে বলেই মনে করছে বিএসএফ। বিএসএফ অতীতে জম্মু, সাম্বা এবং কাঠুয়া জেলার সীমান্ত এলাকায় ১৭০ টিরও বেশি গ্রাম এবং স্কুলে ১৪৪ টি ড্রোন সচেতনতা কর্মসূচি পরিচালনা করেছে, এমনটাই জানিয়েছেন ডিআইজি বিএসএফ এস পি এস সান্ধু। ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর সঙ্গে যৌথভাবেই গত বছর থেকেই ড্রোন সচেতনামূলক কর্মসূচির চালু করেছিল বিএসএফ। কারণ সীমান্তে পাকিস্তানের তরফে ড্রোনের ব্যবহার বেড়ে গিয়েছিল এবং দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ারও সম্ভাবনা ছিল। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে ফ্লেক্স ও হোর্ডিংয়ের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে বিএসএফ।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh on Singur: ‘টাটা-ন্যানো থেকে মাছের ভেড়ি অবধি…পুরোটাই লুট!’