Madan Mitra Blocked Governor: মমতার পরেই টুইটারে ধনখড়কে ‘ব্লক’ মদন-ডেরেকের, একই আবেদন রাজ্যবাসীর কাছেও

Kolkata: শুধু ডেরেক ও' ব্রায়েন নন, লোকসভার অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির কাছে রাজ্যপালকে অপসারণের দাবি  করেছেন লোকসভার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়

Madan Mitra Blocked Governor: মমতার পরেই টুইটারে ধনখড়কে 'ব্লক' মদন-ডেরেকের, একই আবেদন রাজ্যবাসীর কাছেও
মদন মিত্রের বিরোধ, নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 01, 2022 | 3:31 PM

কলকাতা: তিনি কথা দিয়েছিলেন, তাঁর নেত্রীর নির্দেশচ্যুত হবেন না। বরং, নেত্রীর প্রতি পদক্ষেপ অনুসরণ করবেন তিনি। সেইমতোই এ বার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে টুইটারে ব্লক করলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। স্ক্রিনশট শেয়ার করে রাজ্যবাসীর কাছেও একই আবেদন করলেন তিনি। শুধু মদন নন, রাজ্যপালকে ব্লক করার তালিকায় রয়েছেন সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন।

মদন মিত্র তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। সেই স্ক্রিনশটে স্পষ্ট রয়েছে তিনি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ব্লক করেছেন। একইসঙ্গে, রাজ্যবাসীকে আবেদন করেছেন রাজ্যপালকে যেন সকলেই ব্লক করেন। শুধু মদন নন, রাজ্যপালকে টুইটারে ব্লক করেছেন সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন।

সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে টুইটারে ব্লক করেছেন। কারণ, ‘বাধ্য’ হয়েই এরকম পদক্ষেপ করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, “আমি দুঃখিত এটি বলার জন্য, কিন্তু বাধ্য হয়েই করলাম।” তাঁর আরও সংযোজন, “তবে আমি বাধ্য হয়ে একটা কাজ করেছি। আমি দুঃখিত এর জন্য। এর জন্য আমি আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। উনি প্রতিদিন একটি করে টুইট করেন। কখনও অফিসারদের গালাগালি দিয়ে, কখনও আমাকে গালিগালি দিয়ে… বিভিন্ন ভাবে অভিযোগ তুলে, অসাংবিধানিক কথাবার্তা, অনৈতিক কথাবার্তা বলেন। আমাদের নির্দেশ দিতেন ওনার পরামর্শ অনুযায়ী আমাদের চলতে হবে। পরামর্শ নয়, ওনার নির্দেশ অনুযায়ী চলতে বলতেন। তার মানে, আমরা ওনার চাকর-বাকর আর কি!”

শুধু ডেরেক ও’ ব্রায়েন নন, লোকসভার অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির কাছে রাজ্যপালকে অপসারণের দাবি  করেছেন লোকসভার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘গণতন্ত্রের স্বার্থরক্ষার’ জন্যই এই দাবি করেন তৃণমূল সাংসদ। এদিক, রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত কিছুতেই থেমে নেই।

মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের পরেই টুইট করেন রাজ্যপাল। টুইটে লেখেন, “রাজ্যের বিভিন্ন প্রশাসনিক বিষয়ে রাজ্যপালকে জানানো মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।” কেন রাজ্য সরকার দু’ বছর ধরে কোনও তথ্য রাজ্যপালকে জানাচ্ছে না, তাও টুইটারে জানতে চান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। পরে যদিও আরও একটি টুইট করেন রাজ্যপাল। সেখানে তিনি বলেছেন, “সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে আলোচনা এবং সম্প্রীতিই গণতন্ত্রকে তুলে ধরে এবং সেই সঙ্গে সংবিধানের গুরুত্বকেও তুলে ধরে। এটি পারস্পরিক সম্মান এবং শ্রদ্ধার মাধ্যমে হবে।”

উল্লেখ্য, এই হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজটি রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠিয়েছিলেন সোমবার সকাল ১০ টা ২৫ মিনিটে। অর্থাৎ, মুখ্যমন্ত্রী যে অভিযোগ আজ নবান্ন থেকে তুলেছেন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে, তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা বার্তা দিচ্ছে রাজ্যপালের এই হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা। সেখানে রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিচ্ছেন বলে দেখা যাচ্ছে। ফলে, বিরোধ থামছে না। মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তে আরও সংঘাত বাড়বে বলেই মনে করছে  রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন: Dilip Ghosh on Singur: ‘টাটা-ন্যানো থেকে মাছের ভেড়ি অবধি…পুরোটাই লুট!’