হায়দরাবাদ : বীরভূমের রামপুরহাট সাক্ষী থেকেছে ভয়াবহ মৃত্যুকাণ্ডের। বগটুই হত্যাকান্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এই ঘটনার আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশেও। এইবার এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিলেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদ মুসলিমিন (AIMIM) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসি। তিনি বৃহস্পতিবার বীরভূমের এই হত্যাকান্ড নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকারকে আক্রমণ শানালেন। তিনি এদিন সংবাদ সংস্থা জানিয়েছেন যে, বাংলার সরকার মুসলিমদের ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে।
হায়দরাবাদের সাংসদ এএনআই-কে এদিন বলেন, “বীরভূমের এই ঘটনায় দেখা যায় যে বাংলার সরকার মুসলিমদের ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে। একই রাজনৈতিক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব। এই দ্বন্দ্বে কয়েকজন শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়।” রাজ্য়ে সব বিরোধী দলই বাংলার সরকারের এই অব্যবস্থা নিয়ে সরব হয়েছে আগেই। এত বড় সুযোগ হাতছাড়া করেনি কোনও দলই। ঘটনাস্থলে গিয়েছে সিপিএম থেকে শুরু করে বিজেপির কেন্দ্রীয় দলও। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় ৩৫৫ ও ৩৫৬ ধারা আরোপ করার আবেদনও করেছেন বিজেপি নেতৃত্বরা। এই ঘটনায় পুলিশের হাত রয়েছে এই অভিযোগ তুলে পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিও তুলেছেন বিরোধীরা।
এইবার বীরভূমের এই হত্যাাকান্ড নিয়ে বাংলার সরকারকে কটাক্ষ করলেন মিম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। এদিকে বীরভূমের এই হিংসার ঘটনাকে নাৎসি কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের সঙ্গে তুলনা করেছেন। বিজেপির মুখপাত্র প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেছেন, “পুরো ঘটনাটি নাৎসি কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের অনুরূপ। এগুলি একটি রাজনৈতিক দলের দ্বারা প্রতিশোধমূলক হত্যাকান্ড। তাদের রাজনৈতিক স্কোর স্থির করার জন্য নিরপরাধ মহিলা এবং শিশুদের হত্যা করা হয়েছে।”
আরও পড়ুন : Uniform Civil Code : উত্তরাখণ্ডে কার্যকর হবে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, মসনদে বসেই বড় ঘোষণা ধামির