Caste Census: ‘আপনার বাবা কী করেছিলেন?’ জাতিভিত্তিক জনগণনা নিয়ে রাহুলকে ধর্মেন্দ্রর প্রশ্নবান
Caste Census: সোমবার (৯ অক্টোবর), পাঁচ রাজ্যের ভোটের সূচি ঘোষণার দিনই, কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে জাতিভিত্তিক জনগণনা পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। পাশাপাশি, এই ইস্যুতে বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করেছে শতাব্দী প্রাচীন দল। এবার হাত শিবিরে পাল্টা আক্রমণ ছুড়ে দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।
গত কয়েক মাস ধরেই বারবার জাতি ভিত্তিক জনগণনার ফল প্রকাশের জন্য মোদী সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করছে কংগ্রেস। গত এপ্রিলে এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। সোমবার (৯ অক্টোবর), পাঁচ রাজ্যের ভোটের সূচি ঘোষণার দিনই, কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে জাতিভিত্তিক জনগণনা পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি। পাশাপাশি, ২০১১ সালের জাতিভিত্তিক জনগণনার ফল প্রকাশ না করা এবং ২০২১-এর পর থেকে এখনও পর্যন্ত এই ধরনের কোনও আদমশুমারি না করার জন্য মোদী সরকারকে কাঠগড়ার তুলেছে কংগ্রেস। অভাবী মানুষদের সঙ্গে বিজেপি সরকার প্রতারণা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন রাহুল গান্ধী। এবার, রাহুল তথা কংগ্রেসকে পাল্টা আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। ক্ষমতায় থাকাকালীন কংগ্রেস কেন জাতিভিত্তিক জনগণনার দায়িত্ব নেয়নি, সেই প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেছেন, “আমি রাহুল গান্ধীকে প্রশ্ন করতে চাই, নয়ের দশকে যখন মন্ডল কমিশনের সুপারিশ এসেছিল, তখন তাঁর বাবা কী অবস্থান নিয়েছিলেন? তিনি সংসদে এর তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। তাঁরা এতদিন ক্ষমতায় ছিলেন, কিন্তু কখনই এই দায়িত্ব নেননি। আসলে, বিগত দিনে কংগ্রেস যে পাপ করেছে, এটা তা এড়ানোর একটা কৌশল।” এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ধর্মেন্দ্র প্রধান আরও বলেন, “আজ জাতিভিত্তিক আদমশুমারির আড়ালে কংগ্রেস সমাজকে বিভক্ত করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে। স্বাধীনতার পর থেকে ইউপিএ-২ সরকারের সময় পর্যন্ত, কংগ্রেস জাতিভিত্তিক আদমশুমারির তীব্র বিরোধিতা করেছিল। রাহুল গান্ধী প্রথমে বলুন, কেন কংগ্রেস কয়েক দশক ধরে ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও জাতিভিত্তিক আদমশুমারি করেনি?”
পাশাপাশি, জাতিভিত্তিক জনগণনা নিয়ে রাহুল গান্ধী জনমানসে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন বলে দাবি করেছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। কারণ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মতে, এই ধরনের জনগণনা পরিচালনা করার অধিকার নেই রাজ্য সরকারগুলির। তিনি বলেছেন, “জাতিভিত্তিক আদমশুমারি করার সাংবিধানিক অধিকার শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারেরই রয়েছে। রাহুল গান্ধী জাতিভিত্তিক আদমশুমারি নিয়ে বিভ্রান্তিকর কথা বলছেন।”
প্রসঙ্গত, বিহার সরকারও রাজ্যে জাতিভিত্তিক আদমশুমারি পরিচালনা করেছে। সম্প্রতি তার ফলও প্রকাশ করা হয়েছে। এই ধরনের জনগণনার এক্তিয়ার বিহার সরকারের আদৌ আছে কিনা, সেই বিষয়ে প্রশ্ন তুলে, সরকারের বিরুদ্ধে মামলার করা হয়েছিল পটনা হাইকোর্টে। হাইকোর্ট বিহার সরকারকে এই আদমশুমারি পরিচালনার বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল। পটনা হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতে সেই মামলা এখনও চলছে। আবেদনকারীদের দাবির জবাবে বিহার সরকারের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছে আদালত। তবে, গত শুনানিতে আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, নির্বাচিত সরকারের কোনও সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করার অধিকার নেই আদালতের। এই আদমশুমারির ফল প্রকাশ করার ক্ষেত্রেও কোনও বাধা নেই বলে জানিয়েছে আদালত।