AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

কেন্দ্রের আরও এক বড় পদক্ষেপ, নিষিদ্ধ হল পাকিস্তানের সমস্ত YouTube চ্যানেল

Pakistan: সরকারের অভিযোগ, পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেলগুলিতে ভারত, ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক, সাম্প্রদায়িক ও মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে ইউটিউব চ্যানেলগুলির মাধ্যমে।

কেন্দ্রের আরও এক বড় পদক্ষেপ, নিষিদ্ধ হল পাকিস্তানের সমস্ত YouTube চ্যানেল
প্রতীকী চিত্র।Image Credit: TV9 বাংলা
| Updated on: Apr 28, 2025 | 11:41 AM
Share

নয়া দিল্লি: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকারের। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর বন্ধ করা হয়েছে সিন্ধু জল চুক্তি, বন্ধ সীমান্ত, পাকিস্তানিদের আর দেওয়া হবে না ভিসা-ও। এবার আরও এক বড় পদক্ষেপ কেন্দ্রের। নিষিদ্ধ করা হল পাকিস্তানি সমস্ত ইউটিউব চ্যানেল। ভারতে বসে আর পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম বা অন্য কোনও ব্যক্তির ইউটিউব চ্যানেল দেখা যাবে না। পাশাপাশি বিবিসি-কেও চিঠি লিখে সতর্ক করা হয়েছে।

সরকারের অভিযোগ, পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেলগুলিতে ভারত, ভারতীয় সেনা ও গোয়েন্দা বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক, সাম্প্রদায়িক ও মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে ইউটিউব চ্যানেলগুলির মাধ্যমে। সেই কারণেই ইউটিউব চ্যানেলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হল।

পাকিস্তানি নিউজ চ্যানেল ডন নিউজ, সামা টিভি, আরি নিউজ, জিও নিউজ, বোল নিউজ, রফতার, সুনো নিউজের মতো ইউটিউব চ্যানেলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ ভাটি, আসমা শিরাজি, উমর চিমা, মুনিব ফারুকের মতো সাংবাদিকদের চ্যানেলও বন্ধ। প্রাক্তন ক্রিকেটার শোয়েব আখতারের চ্যানেলও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

সরকারি সূত্রে খবর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পরামর্শেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। সম্প্রতিই কেন্দ্রের নজরে এসেছে যে পাকিস্তানের ইউটিউব চ্যানেলগুলিতে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর তথ্য় সম্প্রচার করা হচ্ছে। বিশেষ করে পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলার পর এমন কিছু কন্টেট পোস্ট করা হচ্ছে, যা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বা হিংসার সৃষ্টি করতে পারে। জাতীয় সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেলগুলি ব্যান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, বিবিসি-কেও চিঠি লিখে সতর্ক করা হয়েছে তাদের সংবাদ পরিবেশন নিয়ে। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার খবরের শিরোনামে লেখা ছিল “কাশ্মীরের হামলার পর পাকিস্তান ভারতীয়দের জন্য ভিসা বন্ধ করল”। এছাড়া সন্ত্রাসবাদী হামলাকেও ‘মিলিট্যান্ট অ্যাটাক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপরই কেন্দ্রের তরফে বিবিসি ইন্ডিয়ার প্রধান জ্যাকি মার্টিনকে চিঠি লেখা হয় এবং জানানো হয় যে বিদেশ মন্ত্রক বিবিসির রিপোর্টিংয়ে নজর রাখবে।

প্রসঙ্গত, গণমাধ্য়মে মিলিট্যান্ট শব্দটি সাধারণত সন্ত্রাসবাদকে উল্লেখ করলেও, অনেক সময়ে তা প্য়ারামিলিটারি পদক্ষেপ বা  কোনও ধর্মীয় বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে হামলাকেও বোঝানো হয়। বিবিসি কোন অর্থে মিলিট্যান্ট শব্দটি ব্যবহার করেছে, তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই।