Centre’s New Ordinance: ‘সুপ্রিম’ রায়ের পাল্টা চাল, রাজধানীতে আমলা নিয়োগে ক্ষমতা নিজের হাতে রাখতে বিশেষ অর্ডিন্যান্স কেন্দ্রের

Delhi Government: কমিটি বা কর্তৃপক্ষের সমস্ত সদস্যদের মধ্যে ভোটের মাধ্যমে যে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি কমিটির সদস্যরা কোনও বিষয়ে সহমত হতে না পারেন, তবে লেফটেন্যান্ট গভর্নরই শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন।

Centre's New Ordinance: 'সুপ্রিম' রায়ের পাল্টা চাল, রাজধানীতে আমলা নিয়োগে ক্ষমতা নিজের হাতে রাখতে বিশেষ অর্ডিন্যান্স কেন্দ্রের
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 20, 2023 | 6:37 AM

নয়া দিল্লি: সম্প্রতিই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বড় জয় পেয়েছিল কেজরীবাল সরকার। রাজ্য সরকার বনাম লেফটেন্যান্ট গভর্নরের ক্ষমতার লড়াইয়ে শীর্ষ আদালতের তরফে সাফ জানানো হয়েছিল পুলিশ, আইন-শৃঙ্খলা ও জমি ছাড়া বাকি সমস্ত প্রশাসনিক ক্ষমতাই থাকবে রাজ্য় সরকারের হাতে। লেফটেন্যান্ট গভর্নর (Lt Governor) রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য। শীর্ষ আদালতের এই সিদ্ধান্তে আমলাদের নিয়োগ ও তাদের বদলির ক্ষমতাও স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য় সরকারের হাতে চলে যায়। এবার সেই ক্ষমতাতেই ফের ভাগ বসাল কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে এক নতুন বিশেষ আইন আনার প্রস্তাব দেওয়া হল, যেখানে কেন্দ্রের প্রতিনিধি লেফটেন্যান্ট গভর্নরই আমলাদের (Bureaucrats) নিয়োগ বা বদলির ক্ষেত্রে শেষ কথা বলবেন। 

শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে একটি বিশেষ অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে ন্যাশনাল ক্যাপিটাল সিভিল সার্ভিস অথারিটি তৈরির প্রস্তাবনা আনা হয়। এই কর্তৃপক্ষই আমলাদের নিয়োগ ও বদলির সিদ্ধান্ত নেবে। এর সদস্য হবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব। কমিটির চেয়ারপার্সন হবেন মুখ্যমন্ত্রী।

কমিটি বা কর্তৃপক্ষের সমস্ত সদস্যদের মধ্যে ভোটের মাধ্যমে যে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি কমিটির সদস্যরা কোনও বিষয়ে সহমত হতে না পারেন, তবে লেফটেন্যান্ট গভর্নরই শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন।

নিয়ম অনুযায়ী, সংসদের দুই কক্ষেই এই অর্ডিন্যান্স পাশ করাতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। লোকসভায় ক্ষমতা থাকলেও, রাজ্যসভায় তুলনামূলকভাবে বিজেপির সাংসদ সংখ্যা কম থাকায় বিরোধীরা একজোট হয়ে বিরোধিতা করতে পারে।

এ দিকে, কেন্দ্রের এই অর্ডিন্যান্স আনার খবর পেয়েই সরব হয় দিল্লির শাসক দল আপ আদমি পার্টি। তাদের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের তরফে সম্প্রতিই ক্ষমতা বিন্যাস নিয়ে যে রায় দেওয়া হয়েছে, এই অর্ডিন্যান্স তার সম্পূর্ণ বিরোধী।  দিল্লি পৌর-মন্ত্রী অতিশি এই বিষয়ে বলেন, “মোদী সরকার সুপ্রিম কোর্টের একাধিক রায় ও সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়েছে। শীর্ষ আদালতের তরফে সাফ বলা হয়েছে জনগণের নির্বাচিত সরকারের স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রের অর্ডিন্যান্সের একমাত্র লক্ষ্য়ই হল কেজরীবাল সরকারের হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়া।”