Cough Syrup: খুচরো বাজারে কোডিনযুক্ত কফ সিরাপের অপব্যবহার রুখতে কঠোর হবে কেন্দ্র
কোডিন মেশানো কফ সিরাপের উৎপাদন, বিক্রি এবং বণ্টনের ক্ষেত্রে কঠোর কিছু নিয়ম চালু করতে পারে কেন্দ্র।
নয়াদিল্লি: বেশ কিছু কফ সিরাপের উপাদান হিসাবে কোডিন থাকে। সেই সব কফ সিরাপের ব্যাপারে আরও কঠোর অবস্থান নিতে পারে কেন্দ্র। কোডিন মেশানো কফ সিরাপের উৎপাদন, বিক্রি এবং বণ্টনের ক্ষেত্রে কঠোর কিছু নিয়ম চালু করতে পারে কেন্দ্র। প্রাথমিক ভাবে কেন্দ্র কোডিন নির্ভর কফ সিরাপ (সিবিসিএস) নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার অনুরোধে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে কঠোর নিয়ম আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এই ধরনের কফ সিরাপ যাতে কোনও ভাবেই সাধারণ আউটলেটে যা পৌঁছয়, সে ব্যাপারে নিশ্চিন্ত হতে চাইছে কেন্দ্র। এ ব্যাপারে ডিস্ট্রিবিউটর এবং খুরচো বিক্রেতাদের জন্য নিয়ম আনা হতে পারে।
ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা (ইন্ডিয়ান ড্রাগ ম্যানুফ্যাকটার্স অ্যসোসিয়েশন)-এর এক আধিকারিক বলেছেন, “আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করেছি কোডিন নির্ভর কফ সিরাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা না করতে। কিন্তু এর সরবরাহের ব্যাপারে কঠোরতা আনতে। কফের সমস্যার চিকিৎসায় চিকিৎসকরা কোডিন ব্যবহার করতে নির্দেশ দেন। প্রস্তুতকারক সংস্থাদের জন্য সরকার থেকে কোটা বরাদ্দ হয়ে থাকে। পান-বিড়ির দোকান এবং অননুমোদিত দোকানে কফ সিরাপ বাজেয়াপ্ত করা হোক। কিন্তু মেডিক্যালি প্রমানিত কফ সিরাপে নিষেধাজ্ঞা আনা উচিত নয়। তথ্য বলছে গত তিন বছরে দেড় লক্ষ কিলোগ্রাম কোডিন ফসফেস ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মাত্র সাড়ে ২১ কেজি। অর্থাৎ মাত্র ০.০১৪ শতাংশ। নারকোটিক ড্রাগ অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস আইনে (এনডিপিএস) কোডিন ২০১৫ সালে জরুরিভিত্তিক নারকোটিক ড্রাগ হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছে।”
ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, সম্প্রতি একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। সেখানে কোডিনের ভুল ব্যবহারের সমস্যার সমাধান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কোভিন যুক্ত কফ সিরাপ বাজারে নিষিদ্ধ না করে তার সরবরাহের বিষয়ে আরও কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত প্রাথমিক ভাবে নেওয়া হয়েছে।