Centre vs State Over COVID Management: তৃতীয় ঢেউ আসার আগে ফের শুরু কেন্দ্র বনাম রাজ্যের সংঘাত, এবার কাঠগড়ায় আগাড়ি সরকার
Centre vs State Over COVID Management: মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ভারতী পাওয়ার রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন। সেখানেই তিনি বলেন, "যে সকল মন্ত্রীরা কেন্দ্রের থেকে বরাদ্দ অর্থ না পাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন, তারা লিখিতভাবে জানান যে, কোন তহবিলে কত বরাদ্দ অর্থ দিতে অস্বীকার করেছে কেন্দ্র।"
মুম্বই: বাড়ছে সংক্রমণ, যে কোনও মুহূর্তে আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ (Third Wave of COVID-19)। এই পরিস্থিতিতেই ফের একবার শুরু হল কেন্দ্র বনাম রাজ্যের সংঘাত (Centre vs State)। এবার করোনা মোকাবিলায় (COViD Management) মহারাষ্ট্র সরকারের (Maharashtra Government) বিরুদ্ধে ঢিলেমির অভিযোগ উঠল। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী ভারতী পাওয়ার (bharati Pawar) মঙ্গলবার দাবি করেন যে, করোনা মোকাবিলায় ধীর গতিতে কাজ করছে মহা বিকাশ আগাড়ি সরকার (MVA Govt) এবং নিজেদের দোষ ঢাকতে কেন্দ্রের উপর বরাদ্দ অর্থ না দেওয়ার অভিযোগ আনছে।
বিতর্কের সূত্রপাত:
মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ভারতী পাওয়ার রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন। সেখানেই তিনি বলেন, “যে সকল মন্ত্রীরা কেন্দ্রের থেকে বরাদ্দ অর্থ না পাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন, তারা লিখিতভাবে জানান যে, কোন তহবিলে কত বরাদ্দ অর্থ দিতে অস্বীকার করেছে কেন্দ্র।”
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, “আমরা এখনও অবধি কোনও অভিযোগপত্র পাইনি যে রাজ্য়ের তরফে কোনও কিছুর দাবি করা হয়েছিল, কিন্তু কেন্দ্রের তরফে তা স্বীকার করা হয়নি। বরং আমরাই রাজ্য়গুলিকে বলেছি যে করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের বরাদ্দ তহবিল থেকে টাকা খরচ করে নির্দিষ্ট পরিকাঠামো তৈরি করুন। আমি বলব না যে মহারাষ্ট্রে কাজ হয়নি, তবে অত্যন্ত ধীর গতিতে সেই কাজ হচ্ছে। রাজ্য়গুলির উচিত সরকারি তহবিলের কত টাকা তারা কোন খাতে খরচ করছে, তার বিস্তারিত হিসাব দেওয়া।”
রাজেশ তোপের সঙ্গে বিরোধ:
সূত্রের খবর, পর্যালোচনা বৈঠকে মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও, তিনি যাননি। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ভারতী পাওয়ার বলেন, “আমরা স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে ও চিকিৎসা শিক্ষামন্ত্রী অমিত দেশমুখকে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলেছিলাম, কিন্তু পর্যালোচনা বৈঠকে রাজ্যের তরফে কেবল আধিকারিকরাই উপস্থিত ছিলেন।”
এদিকে, মন্ত্রী রাজেশ তোপে বৈঠক এড়িয়ে যাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পুণেতে একটি সাংবাদিক বৈঠকে করে তিনি বলেন, “রাজ্যোর বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে জানিয়েছি। এমনকি, আমার সঙ্গে আলোচনা করেই এই বৈঠক ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকের যাবতীয় ব্যবস্থাপনাও আমিই করেছি। যেহেতু বসন্তদাদা সুগার ইন্সটিটিউটের বার্ষিক সাধারণ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা ছিল আগে থেকেই, সেই কারণে আমি এখানে এসেছি।”
ভারতী পাওয়ারের অভিযোগ উড়িয়ে তিনি বলেন, “কেন্দ্রের সঙ্গে শেষ ভিডিয়ো কনফারেন্সে আমি বেশ কিছু দাবি তুলেছিলাম। এরমধ্যে অন্যতম ছিল করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য একটি নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি ও প্রোটোকল। একইসঙ্গে রেমিডেসিভিরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ওষুধের মজুত বন্ধ করা ও মলনুপিরাভির আরও বেশি সংখ্যায় সরবরাহের কথাও বলেছিলাম। মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি নিয়ে চিন্তাভাবনা করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সাধারণ মানুষের হয়ে কথা বলার জন্য এই মূল্য দিতে হচ্ছে। কেন্দ্রের উচিত দ্রুত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া…”
তিনি আরও দাবি জানিয়ে বলেন, “কেবল আইসিইউর জন্য মানব সম্পদ পাঠানো নয়, বরং জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে ফান্ডও বরাদ্দ করা। আমরা কেন্দ্রের বরাদ্দ টাকা এখনও পাইনি।”