নয়া দিল্লি: সংসদের ক্যান্টিনে সস্তায় খাবারের দিন অবসান। নতুন বছরে বাজেট অধিবেশনের আগেই তুলে নেওয়া হচ্ছে ভর্তুকি (subsidy), যার কারণে এবার থেকে বাজারদরেই মিলবে সংসদের ক্যান্টিনের খাবার।
সংসদের ক্যান্টিনে খাবারের কম দাম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক রয়েছে। সমালোচনার মুখে পড়ে ২০১৬ সালে সেই দাম কিছুটা বাড়ানো হয়েছিল। তবুও বাজারের দামের সঙ্গে সংসদের ক্যান্টিনে খাবারের দামে আকাশ-পাতাল ফারাক ঘোচেনি। সরকারি ভর্তুকির কারণে ক্যান্টিনে হায়দরাবাদি মটন বিরিয়ানি পাওয়া যেত ৬৫ টাকায়, ব্রিটিশ কায়দায় সেদ্ধ সবজি মিলত মাত্র ১২টাকায়। এবার সম্পূর্ণ রূপে ভর্তুকি তুলে নেওয়ায় আর সস্তায় পাওয়া যাবে না খাবার। ইতিমধ্যেই প্রকাশ করা হয়েছে নতুন মূল্য তালিকা। বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিন থেকেই এই মূল্য কার্যকরী হবে।
সংসদের ক্যান্টিনে আগে নিরামিষ থালি পাওয়া যেত ৩০ টাকায়। এবার থেকে সেই থালি পাওয়া যাবে ১০০ টাকায়। রুটির দাম এক টাকা বেড়ে হয়েছে তিন টাকা। ৬৫ টাকার মটন বিরিয়ানি অতীত, এবার থেকে সেই বিরিয়ানি খেতে খরচ করতে হবে ১৫০ টাকা। সেদ্ধ সবজির প্লেটেরও দাম বেড়েছে, প্রতি প্লেটের মূল্য ৫০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। খিচুরি খেতেও এবার থেকে ৫০ টাকা খরচ করতে হবে। চিকেন বিরিয়ানি পাওয়া যাবে ১০০ টাকায়, দুই টুকরো চিকেন কিনতে হবে ৭৫ টাকা দিয়ে। দক্ষিণী খাবারেরও দাম বেড়েছে। মশলা ধোসার নতুন দাম ৫০ টাকা, ইডলির দাম ২৫ টাকা। এমনকি স্যালাড খেতেও সাংসদদের খরচ করতে হবে ৩০ টাকা। আমিষ বুফে খেতে খরচ হবে ৭০০ টাকা।
আরও পড়ুন: চাকরির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনেই ধুন্ধুমার, শিক্ষক-পুলিশ সংঘর্ষে আহত কমপক্ষে ১০০
গত সপ্তাহেই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা (Om Birla) জানিয়েছিলেন, সরকারের তরফে ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংসদের ক্যান্টিনে সাংসদ ও অন্যান্যদের জন্য যে খাবার পাওয়া যেত, এবার থেকে তার খরচ বাড়তে চলেছে। পাশাপাশি উত্তর রেল কর্তৃপক্ষের বদলে এবার থেকে ক্যান্টিনের দায়িত্ব পাচ্ছে ইন্ডিয়ান ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (Indian Tourism Development Corporation)।
ভর্তুকি তুলে নেওয়ার ফলে সরকারের কত খরচ কমবে, সে বিষয়ে স্পিকার কিছু না জানালেও পিটিআই-র রিপোর্ট অনুযায়ী, এবার থেকে প্রতি বছর প্রায় আট কোটি টাকা সঞ্চয় হবে। ২০১৯ সালেই ক্যান্টিনের ভর্তুকি বাবদ ১৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল। লোকসভা ও রাজ্যসভার মোট সাংসদ সংখ্যা ৭৯০ হলেও অধিবেশন চলাকালীন প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার মানুষ সংসদের ক্যান্টিনে খান।
আরও পড়ুন: সাতসকালেই ভূমিকম্প রাজধানীতে, কেঁপে উঠল পশ্চিম দিল্লি