Mukesh Ambani: মুকেশ অম্বানির অ্যান্টিলিয়াতে কর্মরত পরিচারকদের বেতন কত? কত টাকা পান রাঁধুনি?
সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর গুঞ্জন। কত টাকা পেতে পারেন একজন পরিচারক? সত্যি কি অম্বানির কর্মীদের ছেলেমেয়েরা আমেরিকাতে পড়াশোনা করে?

আচমকাই নেট-দুনিয়াজুড়ে শোরগোল পড়ে গেছে ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ অম্বানির পরিচারকদের বেতন, সুযোগ সুবিধা নিয়ে। কত টাকা পান তাঁর রাঁধুনি? সত্যি কি রাঁধুনির বেতন একজন বিধায়কের চেয়েও বেশি? এই নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। ছড়াচ্ছে ব্যাপক গুজবও। আজ এই প্রতিবেদনে তথ্য-সহ জানাব আপনাদের কত টাকা বেতন পান অম্বানি বাড়ির পরিচারকরা।
মুকেশ অম্বানি , বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবেরদের মধ্যে একজন। তবে প্রচুর সম্পত্তির মালিক হলেও তিনি মানুষটা বেশ সোজাসাপ্টা, এমনটাই বলে থাকেন তাঁর কাছের লোকেরা। পোশাকে বা দেখনদারিতেও বিশেষ বাহুল্য দেখান না। বড় বড় অনুষ্ঠান, এমনকী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলেও তাঁর পরনে থাকে সাদা জামা, সাধারণ প্যান্ট। ১৯৭০-এ স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময় থেকেই খান নিরামিষ খাবার। তবে মেনুতে ডিম থাকে। কিন্তু মাংস বা মদ স্পর্শ করেন না।
একজন সাধারণ মানুষের মেনুতে যা যা খাবার থাকে, মুকেশ অম্বানির পাতেও সেই সব খাবারই থাকে। রুটি, ডাল, ভাত — সবই খান। এবং সেটাও যে কোনও জায়গায় বসে খেতে পারেন। রবিবার সকালে, মানে ছুটির দিনে তাঁর পছন্দ দক্ষিণ ভারতীয় মেনু। মুম্বইতে তাঁর বসতভিটে অ্যান্টিলিয়া-তে সেদিন ব্রেকফাস্টে হয় ইডলি-সাম্বার রান্না হয়। আত্মীয়স্বজনরা বলেন, হাজারো ব্যস্ততা থাকলেও মুকেশের স্ত্রী নীতা অম্বানি গোটা পরিবারের সঙ্গে বসে রাতের খাবার খান। বোঝাই যাচ্ছে, মুকেশ অম্বানির পরিবারে রাঁধুনিদের বেশ গুরুত্ব রয়েছে। মুকেশও চান, তাঁর কর্মীরা ভাল থাকুন, ভাল বেতন পান। তাই কর্মীদের আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টি তিনি কার্পণ্য করেন না।
এবার আসা যাক আসল প্রসঙ্গে। কত টাকা পান মুকেশ অম্বানির কর্মীরা? একটি সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিও থেকে জানা যায়, অম্বানি পরিবারের একজন চালক বেতন পান প্রতি মাসে ২ লক্ষ টাকা, বছরের সিটিসি ২৪ লক্ষ টাকা। সেটাও কয়েকবছর আগের ভিডিও, নিশ্চয় এখন সেই বেতন আরও বেড়েছে। এবার প্রশ্ন হল, অ্যান্টিলিয়াতে কর্মরত সকলেই কি এরকমই বেতন পান? উত্তর- হ্যাঁ। একটি জাতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু প্রতি মাসে মুকেশের কর্মীরা ২ লক্ষ টাকা বেতনই পান না, সেই সঙ্গে ইন্স্যুরেন্স ও ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খরচও পান। এমনকী, মুকেশ অম্বানি -র কয়েকজন কর্মীর সন্তান নাকি আমেরিকাতে পড়াশোনা করে। দিল্লির একজন বিধায়ক প্রতি মাসে ৯০ হাজার টাকার কাছাকাছি বেতন পান। তাই উপার্জনের নিরিখে বলা যায় অ্যান্টিলিয়াতে কর্মরত একজন পরিচারক, রাঁধুনি বা চালক দেশের একজন বিধায়কের চেয়েও বেশি বেতন পান।
