
কলকাতা: হাঁটু থেকে কোমর সব ভেঙে গিয়েছে পাকিস্তানের। সংঘর্ষ বিরতি হলেও এখনও ভাল করে কোমা থেকে বের হতে পারেনি পাক সেনা। পাকিস্তানকে প্রত্যাঘাতে ভারতীয় সেনার তিন বাহিনীর শক্তি বুঝে গিয়েছে গোটা বিশ্ব। বায়ুসেনা এবং স্থলসেনার পাশাপাশি ভারতীয় নৌ-বাহিনী আরব সাগরে নিজের সম্পূর্ণ শক্তি নিয়ে প্রস্তুত ছিল। অপেক্ষা ছিল শুধুমাত্র সবুজ সংকেতের। কিন্তু নৌ-বাহিনীর প্রয়োজন আর হয়নি। কিন্তু, এর মধ্যেই এবার নতুন উদ্বেগ। দেশের পূর্ব সীমান্তে চিনের বেয়াদপি শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। নানা ভুলভাল কাজকর্ম নজরে আসতে শুরু করেছে। তাই আর সময় নষ্ট না করে পূর্ব দিকের সীমান্ত নিয়ে এবার নিজেদের কাজ শুরু করে দিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
ভারত মহাসাগরে চিনের নৌবাহিনীর জাহাজ আনাগোনা শুরু হতেই ভারতীয় নৌবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের কমান্ডার সহ শীর্ষ কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রধান সচিব রাজেশ কুমার সিং। বৈঠকে নৌবাহিনী পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার ভাইস অ্যাডমিরাল রাজেশ পেনডারকার বঙ্গোপসাগর এবং ভারত মহাসাগরে ভারতীয় নৌবাহিনীর বর্তমান কি পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে সেটা ব্যাখ্যা করেন।
সূত্রের খবর, ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী কৌশলগতভাবে কোন অবস্থানে থাকছে সেই বিষয়টি তুলে ধরা হয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সচিবের সামনে। নৌবাহিনী সূত্রে খবর, পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অন্তর্গত জলসীমার অংশে নৌবাহিনীর নজরদারি এবং সতর্কতা আরও বৃদ্ধি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সচিব। ডেস্ট্রয়ার এবং ফ্রিগেটের মত যুদ্ধ জাহাজগুলি নিয়ে বারবার টহল দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
বিশেষ করে বাংলাদেশ সীমান্তের সঙ্গে থাকা জলসীমান্ত বিশেষ টহলেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তানকে শিক্ষা দেওয়ার পর পাকিস্তানের ‘বিশেষ বন্ধু’ বাংলাদেশে থাকা জঙ্গি সংগঠনগুলি এই জলপথগুলি ব্যবহার করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সে কারণেই বাড়তি সতর্ক থাকতে চাইছেন গোয়েন্দারা। নৌবাহিনী সূত্রে খবর, বৈঠকে সেই বিষয়টিকেও গুরুত্বের মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। সোজা কথায়, ভারতীয় নৌসেনা কৌশলগতভাবে যে যে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে, সেই অংশগুলিতে নিজেদের অবস্থান আরও শক্তপোক্ত করতে হবে। পূর্বাঞ্চলীয় নৌবাহিনীর কমান্ডারকে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সচিব।
বিগত কয়েক মাসে চিনের জাহাজ গুলির যেভাবে ভারতীয় জলসীমানার আশেপাশে থেকে গুপ্তচরবৃত্তির কাজ শুরু করেছিল, সেগুলির উপরে আগামী দিন আরও নজর রাখার নির্দেশ দেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সচিব। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে দোহাই দিয়ে একাধিকবার চিনের একাধিক জাহাজ, যেগুলি মূলত গুপ্তচরবৃত্তি এবং মিসাইল ট্র্যাক করে, সেগুলি ভারত-শ্রীলঙ্কা জলসীমানায় এসেছে বলে জানা যায়। এই ধরনের গুপ্তচর বৃত্তির কাজগুলি নিয়ে আগামী দিন থেকে আরও সতর্ক থাকা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বৈঠক থেকে।