ভারতের মাটিতে চিনা অনুপ্রবেশ জাতীয় পতাকার আসল অপমান, উল্টো সুর উদ্ধবের!

ঘটনার দিন, 'লজ্জাজনক' বলে মন্তব্য করেছিলেন সঞ্জয় রাউত

ভারতের মাটিতে চিনা অনুপ্রবেশ জাতীয় পতাকার আসল অপমান, উল্টো সুর উদ্ধবের!
Follow Us:
| Updated on: Feb 03, 2021 | 6:49 PM

মুম্বই: কখনও বন্ধুত্ব আবার কখনও শত্রুতা। শিব সেনা – বিজেপি সম্পর্ক মাঝে মধ্যেই উঠে আসে জাতীয় রাজনীতির চর্চায়। এবার কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়েও সাত দিনের মধ্যে বেশ কিছুটা ঘুরে গেল শিব সেনা। ২৬ জানুয়ারি লাল কেল্লার ঘটনা ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছিল শিব সেনা। আর মুখপত্রে চিনা অনুপ্রবেশের উদাহরণ টেনে কেন্দ্রকে এক হাত নিল সেই শিব সেনা।

গত রবিবার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে লাল কেল্লার ঘটনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতীয় পতাকার অপমান দুঃখজনক ঘটনা।’ আর আর তারপরই শিব সেনা তাদের মুখপত্র ‘সামনা’-তে লিখেছে যে কৃষক বিক্ষোভ নয়, চিনা অনুপ্রবেশই আসল জাতীয় পতাকার অপমান। কৃষকদের আন্দোলন কখনই জাতীয় পতাকার অপমান করতে পারে না বলে মন্তব্য করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘আমি মুখ খুললে বটগাছ নড়ে যাবে’, শুরুটা করেছিলেন মমতা, পর্দাফাঁস করলেন রাজীব

বিজেপির আইটি সেলকে কটাক্ষ করে শিব সেনার দাবি, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে জাতীয় পতাকায় কেউ হাতও ছোঁয়ায়নি। মুখপত্রে কেন্দ্রকে সরাসরি বার্তা দিয়ে বলা হয়েছে, “সে দিন দিল্লিতে বিক্ষুব্ধ কৃষকদের প্রবেশ আটকাতে যে নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল, সেটাই যদি সীমান্তে থাকত তাহলে চিন লাদাখের মাটিতে প্রবেশ করতে পারত না।”

দিল্লিতে যাতে কৃষকরা পুনরায় প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য যে ধরনের ব্যারিকেড করা হয়েছে তাকে কটাক্ষ করেছে শিব সেনা। নাম না করে মোদী সরকারকে তাদের বার্তা, “স্যার চিন সেনা আমাদের মাটিতে বসে আছে, সেটাই জাতীয় পতাকার আসল অপমান। চিন ভারতের মাটিতে তাদের লাল পতাকা তুলবে, এটা কি সহ্য করা সম্ভব?”

আরও পড়ুন: কোন কোন রাজ্যে রোহিঙ্গারা? বাংলা আছে? তথ্য দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক

মঙ্গলবার সঞ্জয় রাউতের নেতৃত্বে শিব সেনা সাংসদরা গাজীপুর সীমান্তে কৃষক নেতা রাজেশ টিকাইতের সঙ্গে দেখা করেছে। আদিত্য ঠাকরেও কেন্দ্রকে আক্রমণ করে বলেছেন, “দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্তে যে ভাবে ব্যারিকেড ও কাঁটাতার লাগানো হয়েছে যেন মনে হচ্ছে কোনও আন্তর্জাতিক সীমান্ত।”

২৬ জানুয়ারি কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিল দিল্লিতে ঢোকার কিছুক্ষণের মধ্যেই ২০-র বেশি ট্রাক্টর নিয়ে লাল কেল্লায় ঢুকে পড়েন আন্দোলনকারীরা। জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে তাঁরা কৃষি আইন বিরোধী স্লোগান তুলতে শুরু করেন। আন্দোলনের প্রতীকী ঝান্ডাও এদিন লাল কেল্লায় উড়ানো হয়।

এরপরই সঞ্জয় রাউত সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন লাল কেল্লায় যা ঘটেছে তা জাতীয় লজ্জা। বিক্ষোভকারী ও সরকার দু’পক্ষেরই কাছেই এটা ‘লজ্জাজনক’ ঘটনা।