গাজিয়াবাদ: সকালে যখন স্কুলের জন্য বের হয়েছিল, তখন দিব্যি ছিল ১০ বছরের ছেলেটা। কিন্তু বেলা গড়াতেই বাড়িতে ফিরল শুধু নিথর দেহটা। স্কুলবাসে করে যাওয়ার সময়ই জানলা থেকে মুখ বের করেছিল ক্লাস ৩-র পড়ুয়া। এদিকে ওদিকে ঘুরছিল নজর, কিন্তু সামনেই যে একটা বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে, তা চোখেই পড়েনি। স্কুলবাসটি দ্রুতগতিতে যাওয়ায় নিমেষের মধ্যেই বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে মাথা ঠুকে যায় ওই পড়ুয়ার। সঙ্গে সঙ্গেই অচেতন হয়ে পড়ে ওই পড়ুয়া। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে। নিহত ওই পড়ুয়ার অভিভাবকেরা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেই গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গিয়েছে, গাজিয়াবাদের মোদী নগরের একটি বেসরকারি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ত ওই কিশোর। বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব বেশ কিছুটা হওয়ায়, স্কুলবাসে করেই যাতায়াত করত সে। বাকিদিনের মতোই বুধবার দুপুরেও ওই কিশোর বাসে করেই বাড়ি থেকে স্কুলে যাচ্ছিল। জানলার ধারে বসায় বারবার সে জানলা দিয়ে মাথা বের করছিল। আচমকাই একটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে তাঁর মাথাটি ঠুকে যায়। এরপরই অচেতন হয়ে পড়ে সে। সঙ্গে সঙ্গে স্কুলের তরফেই ওই কিশোরকে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
জেলাশাসক আরকে সিং বলেন, “ওই স্কুলবাসে একজন শিক্ষক ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন ওই কিশোর বাসে ওঠার পরই শরীর খারাপের কথা বলেছিল। বমি বমি ভাব লাগায়, তাকে জানলার পাশে বসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সে জানলার বাইরেই মাথা বের করে নেয়। রাস্তার ধারে অবস্থিত একটি বিদ্যুতের খুঁটিতেই তাঁর মাথা ঠুকে যায়। সেই সময় বাসটি স্কুলে ঢুকছিল সবে।”
স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফেই সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশের তরফে ওই স্কুল বাসটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং বাসের চালক ও কন্ডাক্টরকে আটক করা হয়েছে। এদিকে, মৃত ওই কিশোরের অভিভাবকেরা স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেই অভিযোগ জানিয়েছেন পুলিশে। এফআইআরের ভিত্তিতে স্কুল কর্তৃপক্ষের দুইজন ও বাস চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: PM Modi : সূর্যাস্তেই মোদী ভাষণ লালকেল্লায়, তেগ বাহাদুরের জন্মবার্ষিকীতেই তৈরি হচ্ছে ইতিহাস