AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bogtai Massacre : রামপুরহাট হত্যাকান্ডে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি অধীরের, ৩৫৫ নং ধারা লাগুর দাবি

Bogtai Massacre : রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি পাঠালেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। চিঠিতে রাজ্যে ৩৫৫ ধারা লাগুর দাবি করেন তিনি।

Bogtai Massacre : রামপুরহাট হত্যাকান্ডে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি অধীরের, ৩৫৫ নং ধারা লাগুর দাবি
ফাইল ছবি
| Edited By: | Updated on: Mar 23, 2022 | 10:12 PM
Share

নয়া দিল্লি : এইবার রাজ্যে ৩৫৫ ধারা লাগুর করার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি পাঠালেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। রামপুরহাট হত্যাকান্ড নিয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য। পুলিশের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না এই হত্যাকান্ডে স্বজন হারারা। এই রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরে খোদ রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখলেন কংগ্রেস নেতা। তিনি চিঠিতে রাষ্ট্রপতির কাছে পশ্চিমবঙ্গে ৩৫৫ ধারা জারি করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা রাষ্ট্রপতিকে পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন চিঠিতে। তারপর ভোটপরবর্তী হিংসার কথাও তুলে ধরেন। তিনি লিখেছেন যে, গত এক মাসে বাংলায় ২৬ টি রাজনৈতিক খুন হয়েছে। তিনি গতকাল লোকসভায়ও এই একই বিষয় উত্থাপন করেন। বাংলায় চূড়ান্ত অব্য়বস্থার দিকে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যই তিনি এই প্রসঙ্গ সংসদে তুলে ধরেছেন বলে জানিয়েছেন। এদিন রাষ্ট্রপতিকে চিঠিতে ৩৫৫ লাগুর আবেদন ছাড়াও গতকালই তিনি এই বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি গতকাল রামপুরহাট হত্যাকান্ড নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেছিলেন যে, পশ্চিমবঙ্গের এখনকার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে ৩৫৫ ধারা প্রয়োগ করার সময় এসে গিয়েছে। তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে এই বিষয়টি জানানোর কথাও বলেছিলেন। সেইমতো এদিন চিঠি পাঠালেন তিনি।

৩৫৫ ধারা কী?

ভারতীয় সংবিধানের ৩৫৫ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে যে দেশের দায়িত্ব হবে প্রতিটি রাজ্যকে বাহ্যিক আগ্রাসন ও অভ্যন্তরীণ গোলযোগের বিরুদ্ধে রক্ষা করা এবং সংবিধানের বিধান অনুযায়ী প্রতিটি রাজ্যের সরকার পরিচালনা করা নিশ্চিত করা।

অধীর চৌধুরি রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন যে সোমবার তৃণমূলের দুই গ্রুপের মধ্যে সহিংস লড়াই হয়েছিল বীরভূম জেলার বগটুই গ্রামে। প্রসঙ্গত, সোমবার পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন বলে অভিযোগ। এবং তাঁর প্রতিশোধেই ওই গ্রামের সাত থেকে আটটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর ফলে প্রায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে। নিহতরা সবাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বলেও উল্লেখ করেছেন অধীর চৌধুরি।

আরও পড়ুন : Karnataka Temple : হিজাব বিতর্কের আঁচ সংখ্যালঘুদের উপর, কর্নাটকের মেলায় নিষিদ্ধ মুসলিম বিক্রেতারা