‘আন্দোলনজীবী হিসাবে আমি গর্বিত, মহাত্মাও তাই ছিলেন’ মোদীকে বিঁধলেন চিদম্বরম

সোমবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষক আন্দোলন ও সেই আন্দোলনে বিরোধীদের অংশগ্রহণকে কটাক্ষ করে বলেন, "সমাজে নতুন এক শ্রেণির উৎপত্তি হয়েছে, আন্দোলনজীবী। এদের আইনজীবীদের আন্দোলনে দেখা যাবে, ছাত্র আন্দোলন কিংবা শ্রমিক আন্দোলনের অংশও এরা।"

'আন্দোলনজীবী হিসাবে আমি গর্বিত, মহাত্মাও তাই ছিলেন' মোদীকে বিঁধলেন চিদম্বরম
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 10, 2021 | 2:37 PM

নয়া দিল্লি: দুদিন আগেই রাজ্যসভায় নতুন শব্দের জন্ম দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেছিলেন, “সমাজে একটি নতুন শ্রেণির জন্ম হয়েছে- আন্দোলনজীবী। তাঁদের কাজ এক আন্দোলন থেকে আরেক আন্দোলনে লাফ দেওয়া।” এবার প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের জবাব দিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। তিনি বললেন, “আন্দোলনজীবী হতে পেরে আমি গর্বিত।” টানলেন মহাত্মা গান্ধীর প্রসঙ্গও।

সোমবার রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষক আন্দোলন ও সেই আন্দোলনে বিরোধীদের অংশগ্রহণকে কটাক্ষ করে বলেন, “সমাজে নতুন এক শ্রেণির উৎপত্তি হয়েছে, আন্দোলনজীবী। এদের আইনজীবীদের আন্দোলনে দেখা যাবে, ছাত্র আন্দোলন কিংবা শ্রমিক আন্দোলনের অংশও এরা। কোথাও তাঁরা সামনের সারিতে হাজির, কোথাও আবার পিছন থেকেই আন্দোলন পরিচালনা করছেন। এরা আন্দোলন ছাড়া থাকতে পারে না। সবসময়ই নতুন আন্দোলন শুরু করার সুযোগ খোঁজেন এরা। দেশের মানুষকে এই আন্দোলনজীবীদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে।”

আজ প্রধানমন্ত্রীর সেই বক্তব্যের জবাবেই কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম টুইট করে লেখেন, “আন্দোলনজীবী হতে পেরে আমি গর্বিত। আন্দোলনজীবীদের মধ্যে অন্যতম একজন ছিলেন মহাত্মা গান্ধী।” একইসঙ্গে তিনি হ্যাশট্যাগ আই অ্যাম আন্দোলনজীবী (#IamAndolanjivi)-ও লেখেন।

আরও পড়ুন:টুকরো টুকরো করা যাবে না ‘কার্গিল নায়ক’ বিরাটকে : সুপ্রিম স্থগিতাদেশ

একা চিদম্বরম নয়, প্রধানমন্ত্রীর এই নতুন শব্দের সমালোচনা করে একাধিক ব্যক্তি টুইটারে নিজেদের নামের আগে আন্দোলনজীবী তকমা জুড়েছেন। কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর গৌরব পান্ঢি নিজের নাম বদলে লিখেছেন, “গৌরব পান্ঢি-আন্দোলনজীবী”। একইভাবে লেখিকা মীনা কান্দাস্বামীও নিজের নাম বদলে টুইটারে লিখেছেন, “আন্দোলনজীবী ডঃ মীনা কান্দাস্বামী”। তবে বিজেপির তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রীর এই তকমাকে প্রশংসাই করা হয়েছে। ত্রিপুরার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায় এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে টুইট করে লেখেন, “অসাধারণ”। বেঙ্গালুরুর সাংসদ পি সি মোহন এই শব্দটিকে “বছরের শ্রেষ্ঠ শব্দ” বলে আখ্যা দেন।

এদিকে, আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনগুলির তরফেও প্রদানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের সমালোচনা করা হয়েছে। ক্রান্তিকারী কিষাণ ইউনিয়নের প্রধান দর্শন পাল বলেন, “এই আন্দোলনে পঞ্জাবের ভূমিকা অবশ্যই রয়েছে কিন্তু এই আন্দোলন দেশের সকল কৃষকদের। প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের আন্দোলনজীবী বলে অপমান করেছেন। কৃষকরা ওনাকে (প্রধানমন্ত্রী) মনে করিয়ে দিতে চায় যে এই আন্দোলনের কারণেই ভারত ঔপনিবেশিক রাজত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছিল। তাই আমরা আন্দোলনজীবী হিসাবে গর্বিত।”

আরও পড়ুন: প্রবলগতিতে এগিয়ে আসছে জল, এদিক ওদিক দৌড়েও হল না লাভ, চোখের সামনে মৃত্যুকে দেখলেন তপোবনের শ্রমিকরা