টুকরো টুকরো করা যাবে না ‘কার্গিল নায়ক’ বিরাটকে : সুপ্রিম স্থগিতাদেশ

আইএনএস বিরাটের ক্ষেত্রে প্রথমে সংরক্ষণের কথা উঠে এলেও নানারকম টালবাহানার পর কার্গিল নায়ককে ভেঙে ফেলার দায়িত্ব নেয় শ্রী রাম গ্রুপ।

টুকরো টুকরো করা যাবে না 'কার্গিল নায়ক' বিরাটকে : সুপ্রিম স্থগিতাদেশ
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Feb 10, 2021 | 1:27 PM

নয়া দিল্লি: ৩০ বছরের ঐতিহাসিক যাত্রা শেষ করে গুজরাটে আলাংয়ে একটু একটু করে শেষ হয়ে যাচ্ছিল কার্গিল যুদ্ধের নায়ক আইএনএস বিরাট (INS Virat)। ঐতিহাসিক এই রণতরীকে ভেঙে ফেলার দায়িত্বে ছিল গুজরাটের শ্রী রাম গ্রুপ। কিন্তু এবার সেই প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। স্থগিতাদেশ জারি করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, আর ভাঙা যাবে না ‘কার্গিল নায়ক’কে।

২০১৪ সালে মুম্বইয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছিল আইএনএস বিক্রান্ত। আইএনএস বিরাটের ক্ষেত্রে প্রথমে সংরক্ষণের কথা উঠে এলেও নানারকম টালবাহানার পর কার্গিল নায়ককে ভেঙে ফেলার দায়িত্ব নেয় শ্রী রাম গ্রুপ। আসতে আসতে চলছিল বিরাট ভাঙার কাজও। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে একটি ফার্মের পিটিশনের ভিত্তিতে আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন জমা দিয়ে ১০০ কোটি টাকায় রণতরীটি কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে একটি সংস্থা। সেই সাপেক্ষেই স্থগিতাদেশ জারি করে বিরাটের বর্তমান মালিককে নোটিস পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পিটিশন দাখিল করে ওই সংস্থা জানিয়েছে, ১০০ কোটি টাকায় বিরাট কিনে তাকে একটি সংগ্রহশালায় পরিণত করতে চায় তারা।

বিরাটকে সংগ্রহশালায় পরিণত করার কথা আগেও প্রকাশ্যে এসেছে। প্রথমে গোয়ার সরকাররের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জাহাজটিকে সংগ্রহশালায় পরিণত করতে চেয়েছিল এনভিটেক সংস্থা। কিন্তু এনভিটেকের হাতে না এসে মালিকানা যায় শ্রী রাম গ্রুপের কাছে। এরপর শ্রীরাম গ্রুপ, জাহাজটি বিক্রি ও সংগ্রহশালার জন্য অনাপত্তি পত্র দিতে নারাজ হয়। অন্ধ্র প্রদেশ সরকারও রণতরীটিকে সংগ্রহশালায় পরিণত করতে চেয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে ভর্তুকি আবেদন করেছিল। কিন্তু প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ভর্তুকি দিতে রাজি না হওয়ায় ভেসতে যায় সেই পরিকল্পনাও।

আরও পড়ুন: প্রবলগতিতে এগিয়ে আসছে জল, এদিক ওদিক দৌড়েও হল না লাভ, চোখের সামনে মৃত্যুকে দেখলেন তপোবনের শ্রমিকরা

প্রসঙ্গত, ১৯৫৯ সালে প্রথম ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির অন্তর্ভুক্ত হয় আইএনএস বিরাট। সেই থেকে যুদ্ধ শুরু এই রণতরীর। ১৯৮২ সালে ফকল্যান্ড যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আইএনএস বিরাট। ১৯৮৫ সালে ব্রিটিশ পতাকা নামিয়ে নেওয়া হয় এই রণতরী থেকে। ১৯৮৬ সালে ভারতে আসে বিরাট। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে করাচি বন্দরের উপর কড়া নজরদারি চালিয়েছে এই রণতরী। সমুদ্রে অতন্দ্র প্রহরী হিসাবে ভারতের জল সীমানা রক্ষা করেছে ৩০ বছর। এই রণতরী ভারতের জাতীয় পতাকা নিয়ে সমুদ্রে কাটিয়েছে প্রায় ২,২৫২ দিন। যার যাত্রাপথ ১০ লক্ষ ৯৪ হাজার ২১৩ কিলোমিটার।

আরও পড়ুন: গৌরবময় ৩০ বছর! আইএনএস বিরাটের শুরু থেকে শেষের কথা