ফাইল চিত্র
১৯৫৯ সালে প্রথম ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির অন্তর্ভুক্ত হয় আইএনএস বিরাট। সেই থেকে যুদ্ধ শুরু এই রণতরীর। ১৯৮২ সালে ফকল্যান্ড যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আইএনএস বিরাট। ১৯৮৫ সালে ব্রিটিশ পতাকা নামিয়ে নেওয়া হয় এই রণতরী থেকে।
১৯৮৬ সালে ভারতে আসে বিরাট। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধে করাচি বন্দরের উপর কড়া নজরদারি চালিয়েছে এই রণতরী। সমুদ্রে অতন্দ্র প্রহরী হিসাবে ভারতের জল সীমানা রক্ষা করেছে ৩০ বছর।
সারা বিশ্বের সবচেয়ে পুরাতন সক্রিয় যুদ্ধ জাহাজ হিসাবে রেকর্ড রয়েছে আইএনএস বিরাটের নামের পাশে।
১৯৮৯ সালে শ্রীলঙ্কায় শান্তি রক্ষায় অপারেশন জুপিটারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল আইএনএস বিরাট।
আইএনএস বিরাট থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হত ভারতীয় হেলিকপ্টার 'ধ্রুব' ও রাশিয়ার 'কামোভ-৩১'। ২০০১ সালে সংসদে জঙ্গি হামলার পর সন্ত্রাস দমনে অপারেশন 'পরাক্রমের' অংশ ছিল আইএনএস বিরাট।
এই রণতরী ভারতের জাতীয় পতাকা নিয়ে সমুদ্রে কাটিয়েছে প্রায় ২,২৫২ দিন। যার যাত্রাপথ ১০ লক্ষ ৯৪ হাজার ২১৩ কিলোমিটার।
২০১৫ সালে নৌসেনা এই রণতরীকে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে।
এই সুবিশাল ১৩ তলা সমান রণতরীকে নিলামে তোলা হলে কোনও সংস্থাই কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। অন্ধ্র প্রদেশ সরকার সংগ্রহশালা তৈরি করতে চাইলেও ১,০০০ কোটি টাকা ব্যয় করতে রাজি হয়নি। ভর্তুকি দিতেও অস্বীকার করেছিল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
অবশেষে আইএনএস বিক্রান্তের মতোই বিরাটকেও ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মতো শেষ যাত্রায় মুম্বই থেকে গুজরাট পৌঁছয় আইএনএস বিরাট। তারপর প্রায় আড়াইশোরও বেশি কর্মী মিলে ভেঙে ফেলছেন কার্গিল যুদ্ধের অন্যতম 'নায়ক'কে।