Rahul Gandhi: স্পিকার শুধু হাসি মুখে বললেন, “আমি এটা করতে পারব না, বরং আমার সঙ্গে বসে চা খাও”: রাহুল গান্ধী
Rahul Gandhi on Parliament: রাহুল গান্ধী বলেন, "সংসদে আমি নরেন্দ্র মোদী-গৌতম আদানির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। গৌতম আদানির শেল কোম্পানিতে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল তা বলেছিলাম। এই টাকা কোথা থেকে এল? এই টাকা তো আদানির নয়। ২০ হাজার কোটি টাকা কার?
নয়া দিল্লি: সংসদে তাঁকে বলতে দেওয়া হয়নি। বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে গোটা বক্তব্যই, সাংসদ পদ খোয়ানোর পর সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই দাবি করলেন ক্ষুব্ধ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্নাটকে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “সব চোরেদের পদবিই কেন মোদী হয়? তা সে নীরব মোদীই হোক বা ললিত মোদী, কিংবা নরেন্দ্র মোদী”। এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই মামলা হয় এবং গুজরাটের সুরাট আদালত রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়। জামিন অবশ্য পান রাগা। তবে, ২ বছরের সাজা হওয়ায় আইন অনুযায়ী শুক্রবার সংসদের সদস্যপদও খোয়ান রাহুল। এই বিষয় নিয়েই শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন রাহুল গান্ধী। সেখানে তিনি দাবি করেন, মোদী-আদানি ইস্যু (Modi-Adani Issue) নিয়ে মুখ খোলাতেই তাঁকে সংসদে বলতে দেওয়া হত না। এবার তাঁর সাংসদ পদও খারিজ (MP Post Disqualified) করে দেওয়া হল।
এ দিন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, “সংসদে আমি নরেন্দ্র মোদী-গৌতম আদানির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। গৌতম আদানির শেল কোম্পানিতে ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল তা বলেছিলাম। এই টাকা কোথা থেকে এল? এই টাকা তো আদানির নয়। ২০ হাজার কোটি টাকা কার? এই প্রশ্নটাই আমি করেছিলাম। এরপর কী হল, তা আপনারা সকলে দেখেছেন। সংসদে আমি সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট দেখিয়ে, আদানি ও মোদীর সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত বলেছিলাম। এই সম্পর্ক নতুন নয়। নরেন্দ্র মোদী যখন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় থেকে সম্পর্ক। সংসদে মোদী-আদানির এই সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করাতেই সংসদের কার্য বিবরণী থেকে আমার বক্তব্য বাদ দেওয়া হয়েছিল। স্পিকারকে বলেছি, সংসদে কোনও সদস্য অন্য সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললে সেই অভিযুক্ত সদস্যের জবাব দেওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু একাধিক চিঠি লেখার পরও কোনও জবাব পাইনি।”
তিনি আরও বলেন, “সংসদে যাতে আমায় বলতে দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, তার জন্য় আমি স্পিকারকে চিঠি লিখেছিলাম। সেই চিঠির কোনও উত্তর পাইনি। এরপরে দ্বিতীয়বার আমি চিঠি লিখি, সেই চিঠিরও কোনও জবাব মেলেনি। আমি লোকসভার স্পিকারের ঘরে গিয়ে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করি, অনুরোধ করি যে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে আমায় বলতে দেওয়া হোক। কেন আমায় বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না, এই প্রশ্ন করলে উনি শুধু হাসি মুখে বলেন, আমি এটা করতে পারব না। বরং আমার সঙ্গে বসো, চা খাও।”
লোকসভার সাংসদ পদ খোয়ানোর পরও চুপ থাকবেন না বলেই জানান রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, “যতই আমার সদস্যপদ খারিজ করা হোক, আমি মোদী-আদানির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করবই। ২০ হাজার কোটি টাকা কার? আমি জিজ্ঞাসা করতেই থাকব। আমি ওঁদের ভয় পাই না।”