Sonia Gandhi: নৃশংসভাবে শেষ করে দেওয়া হয়েছিল রাজীবের কেরিয়ার: সনিয়া

Rajiv Gandhi Birth Anniversary: সনিয়া গান্ধী বলেন, "রাজীব গান্ধী নারী ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করেছিলেন। পঞ্চায়েত ও পুরসভায় মহিলাদের এক তৃতীয়াংশ সংরক্ষণের জন্য লড়াই করেছিলেন।"

Sonia Gandhi: নৃশংসভাবে শেষ করে দেওয়া হয়েছিল রাজীবের কেরিয়ার: সনিয়া
রাজীব গান্ধীর স্মৃতিচারণ সনিয়া গান্ধীর।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 21, 2023 | 12:04 PM

নয়া দিল্লি: রাজনৈতিক কেরিয়ারের মেয়াদ স্বল্প ছিল, কিন্তু তার মধ্যেই অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছিলেন রাজীব গান্ধী (Rajiv Gandhi)। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর জন্মবার্ষিকীতে এই কথাই বললেন তাঁর স্ত্রী তথা কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। রবিবার তিনি বলেন, “রাজীব গান্ধীর রাজনৈতিক কেরিয়ার অত্য়ন্ত নির্মমভাবে শেষ করে দেওয়া হয়েছিল।”

রবিবার ২৫তম রাজীব গান্ধী জাতীয় সদভাবনা অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী। সেখানে তিনি বলেন, “প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কেরিয়ার অত্যন্ত নির্মমভাবে শেষ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেশকে সেবা করার জন্য যে  অল্প সময় পেয়েছিলেন, তার মধ্যেই  একাধিক সাফল্য অর্জন করেছিলেন।

সনিয়া আরও বলেন, “রাজীব গান্ধী নারী ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করেছিলেন। পঞ্চায়েত ও পুরসভায় মহিলাদের এক তৃতীয়াংশ সংরক্ষণের জন্য লড়াই করেছিলেন। আজ যদি দেশে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুরসভায় ১৫ লাখেরও বেশি মহিলা প্রতিনিধি থাকে, তবে তা একমাত্র রাজীব গান্ধীর দূরদর্শিতা ও কঠোর পরিশ্রমের জন্য। রাজীব গান্ধীর সরকারই ভোট দেওয়ার বয়স ২১ বছর থেকে কমিয়ে ১৮ বছর করেছিল।”

তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, শান্তি ও জাতীয় ঐক্য আরও অর্থপূর্ণ হয়ে উঠেছে, কারণ সমাজে জোর করে ঘৃণা, বিভাজন ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিভাজনের রাজনীতি করা হচ্ছে। রাজীব বরাবরই এই বিষয় নিয়ে সচেতন ছিল যে ভারতের একতা তার বিভিন্নতা, ভাষা ও সংস্কৃতিকে উদযাপনের মাধ্যমেই সম্ভব।”

সনিয়া গান্ধীর মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেন বিজেপি নেতা সুধাংশু ত্রিবেদী। তিনি বলেন, “রাজীব গান্ধীর মৃত্যুতে সনিয়া গান্ধীজি যে কতটা ব্যথিত, তা আমরা সবাই বুঝতে পারছি। তিনি ওঁর (রাজীব গান্ধী) ঐতিহ্য়কে উদযাপন করতেই পারেন কিন্তু সত্যিটা লুকানো উচিত নয়। গোটা দেশ দেখেছে যে রাজীব গান্ধীর সিদ্ধান্ত কীভাবে প্রভাবিত করেছিল। অল্প মেয়াদের জন্য়ই হোক, তবুও দেশ নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল রাজীব গান্ধীর সিদ্ধান্তের কারণে। দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ুতে শিখরা খুন হয়েছিল।”

১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পর, ৪০ বছর বয়সে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন রাজীব গান্ধী। তিনিই দেশের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৮৯ সালের ২ ডিসেম্বর অবধি তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।  ১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুমবুদুরে নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন টাইম বোমা লাগানো মালা পরানো হয় রাজীব গান্ধীকে। বিস্ফোরণে রাজীব গান্ধীর দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়, তার মাথা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ওই আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছিল লিবারেশন টাইগারস অব তামিল এলাম বা এলটিটিই।