AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Indian Army: খরচ প্রায় দেড় লক্ষ কোটি! ভবিষ্যতের এমন যুদ্ধযান ভারতের হাতে আসছে যা দেখে মাথার চুল খাড়া হয়ে যাবে চিন-পাকিস্তানের

Indian Army: এই ট্যাঙ্কের ভিতরে থাকবে বড় বড় টাচ স্ক্রিন। যার মাধ্যমে পাওয়া যাবে ৩৬০ ডিগ্রি ভিশন। মাত্র ৩ জন জওয়ানই এই এক একটা এফআরসিভি-কে কন্ট্রোল করতে পারবেন। চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। নতুন ট্যাঙ্কের নিখুঁত লক্ষ্যে ফায়ার করার দক্ষতা ও ট্যাঙ্কের সুরক্ষা।

Indian Army: খরচ প্রায় দেড় লক্ষ কোটি! ভবিষ্যতের এমন যুদ্ধযান ভারতের হাতে আসছে যা দেখে মাথার চুল খাড়া হয়ে যাবে চিন-পাকিস্তানের
প্রতীকী ছবি Image Credit: Facebook
| Updated on: Sep 05, 2024 | 11:17 PM
Share

নয়া দিল্লি: কেমন হতে পারে ভবিষ্যতের যুদ্ধযান? নানা ভাবনা-চিন্তা ঘোরাফেরা করে অনেকের মনেই। আর্মির ভাষায় কিন্তু একে বলে ফিউচার রেডি কমব্যাট ভেহিকল্‌স বা এফআরসিভি। সহজভাবে বলতে গেলে আমরা এখন যেসব ব্যাটল ট্যাঙ্ক দেখি তারই অনেক উন্নত সংস্করণ। ভারতীয় সেনার হাতে আসতে চলেছে এরকম প্রায় আঠারোশো ভবিষ্যতের যুদ্ধযান। খরচ প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা। 

প্রসঙ্গত, আধুনিক বিশ্বে যুদ্ধকৌশল বদলে যাওয়ায় মাঝারি ওজনের অত্যাধুনিক ট্যাঙ্কের চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে। ভারতীয় সেনা চাইছিল এমন ব্যাটল ট্যাঙ্ক, যা কিনা ফিল্ডের নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ সহজে সামলাতে পারবে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে এফআরসিভি খুবই কার্যকরী ভূমিকা নেবে। দিনে-রাতে সমান দক্ষতার সঙ্গে এই ট্যাঙ্ক কাজ করতে পারবে। পাহাড় ও মরুভূমি অঞ্চলেও এ ট্যাঙ্ক নিয়ে যাওয়া যাবে। চিন সীমান্তে লাদাখে তাপমাত্রা যখন হিমাঙ্কের ৩০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড নীচে। কিংবা পাক সীমান্তে থর মরুভূমির তাপমাত্রা যখন ৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। দুই ক্ষেত্রেই এই নতুন ট্যাঙ্কের দক্ষতার কোনও হেরফের হবে না। 

এই ট্যাঙ্কের ভিতরে থাকবে বড় বড় টাচ স্ক্রিন। যার মাধ্যমে পাওয়া যাবে ৩৬০ ডিগ্রি ভিশন। মাত্র ৩ জন জওয়ানই এই এক একটা এফআরসিভি-কে কন্ট্রোল করতে পারবেন। চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। নতুন ট্যাঙ্কের নিখুঁত লক্ষ্যে ফায়ার করার দক্ষতা ও ট্যাঙ্কের সুরক্ষা। এসব তো আরও আধুনিক হবেই। এই গোটা বিষয়টাতেই ছাড়পত্র দিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন Defence Acquisition Council বা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি। পাক-চিনের মোকাবিলায় সবমিলিয়ে ১০ ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম কেনার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকা। সেনার তিন বাহিনী এবং আধাসেনার উপকূল রক্ষী বাহিনী এর সুবিধা পাবে। বায়ুসেনার জন্য যেমন থাকছে Air Defence Fire Control Radars. যা কিনা শত্রুর বিমানকে চিহ্নিত করে তাকে ধ্বংস করার জন্য পাল্টা গোলা ছোঁড়ার রাস্তা দেখাবে। 

অন্যদিকে কোস্ট গার্ড পাচ্ছে Dornier 228 নজরদারি বিমান এবং খারাপ আবহাওয়াতেও উপকূলে টহলদারির জন্য অত্যাধুনিক জলযান। আর আপনারা শুনে খুশি হবেন যে এই প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকার মধ্যে ৯৯ শতাংশ বরাতই পাবে ভারতীয় সংস্থা। তৈরি হবে সবকিছু দেশের মাটিতেই। এর সঙ্গে আরেকটা কথাও আপনাদের বলবো। শুধুমাত্র অস্ত্রসজ্জা নয়। ভারতীয় সেনার তিন বাহিনীই যাতে একই সঙ্গে যে কোনও অভিযানে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে, সেইজন্যও তৈরি হচ্ছে বিশেষ মেকানিজম। ১৯৮৮ সালে মালদ্বীপকে সেনা অভ্যুত্থানের হাত থেকে বাঁচাতে মাত্র ৪৫ মিনিটের মধ্যে ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী একসঙ্গে অভিযান শুরু করে। যাকে বলা হয় অপারেশন ক্যাকটাস। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, সে কথা মাথায় রেখেই এগোচ্ছে সেনা।