দেশে করোনা টিকাকরণ শুরু জানুয়ারিতেই, জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে হর্ষ বলেন, "আমি মনে করি জানুয়ারির যে কোনও সপ্তাহে টিকাকরণ শুরু হতে পারে দেশে।"

দেশে করোনা টিকাকরণ শুরু জানুয়ারিতেই, জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
টুইটারে জানালেন হর্ষ বর্ধন
Follow Us:
| Updated on: Dec 21, 2020 | 12:19 PM

নয়া দিল্লি: অবশেষে দেশে আসতে চলেছে করোনা (COVID-19) প্রতিষেধক। নতুন বছরের শুরুতেই জানুয়ারি মাসে দেশে শুরু হবে টিকাকরণ। এমনই আশাব্যঞ্জক কথা শোনালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন (Harsh Vardhan)। জানুয়ারির যে কোনও সপ্তাহেই শুরু হতে পারে করোনা টিকাকরণ। করোনা আবহে ১৩০ কোটি ভারতবাসীর মুখে নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই বার্তা হাসি ফোটাবে।

সংবাদ সংস্থা এএনআইকে হর্ষ বলেন, “আমি মনে করি জানুয়ারির যে কোনও সপ্তাহে টিকাকরণ শুরু হতে পারে দেশে।” দেশে অনুমোদনের আবেদন করেছে তিনটি করোনা প্রতিষেধক। ফাইজ়ার, ভারত বায়োটেক ও অক্সফোর্ড ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিন এখন ড্রাগ কন্ট্রোলারের বিবেচনাধীন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রত্যেকটি প্রতিষেধকের অনুমোদনের বিষয় খতিয়ে দেখছেন ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া। পাশাপাশি তিনি এ-ও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, নিরাপদ ও কার্যকরি প্রতিষেধক নিয়ে আসার কাজে সরকার দায়িত্ববদ্ধ।

হর্ষ বর্ধন এএনআইকে বলেন, “করোনা টিকার গবেষণার বিষয়ে ভারত অন্য কোনও দেশের থেকে পিছিয়ে নেই। আমরা নিরাপদ ও কার্যকরি প্রতিষেধক নিয়ে আসার জন্য কাজ করছি।” কেন্দ্র নিরাপত্তায় কোনও খামতি রাখতে নারাজ, তাই প্রত্যেকটি প্রতিষেধককে কড়া পরীক্ষার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একথাও জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে সরকার। যেখানে জানানো হয়েছে, প্রথমে ভ্যাকসিন পাবেন দেশের ২৯ কোটি নাগরিক। যার মধ্যে ১ কোটি স্বাস্থ্যকর্মী, ২ কোটি সামনের সারির যোদ্ধা ও ২৬ কোটি গুরুতর অসুস্থ বয়স্করা। তবে আম জনতাকে করোনা প্রতিষেধক পেতে হলে রেজিস্ট্রেশন করতেই হবে। একথাও সাফ জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।

কয়েক দিন আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রক এ-ও জানিয়েছিল, দেশের করোনা প্রতিষেধক অন্যান্য দেশের প্রতিষেধকগুলির মতোই সমান কার্যকরি হবে। সেক্ষেত্রে প্রথম অনুমোদন কি দেশের কোনও প্রতিষেধক পাবে, এই প্রশ্নও উঠছে বিশেষজ্ঞ মহলে।

আরও পড়ুন: অনির্দিষ্টকালের জন্য রিলে অনশনে কৃষকরা, বৈঠকের দিন নির্ধারণের জন্য চিঠি কেন্দ্রের

প্রসঙ্গত. দেশে এখন মোট ৬ করোনা প্রতিষেধকের ট্রায়াল চলছে। সেগুলি হল, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন, জাইডাস ক্যাডিলার জাইকোভ-ডি, সেরাম ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধানে অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ড, ডঃ রেড্ডিজ ল্যাবের তত্ত্বাবধানে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি, এনভিএক্স-কো-ভি২৩৭৩ ও একটি প্রোটিন অ্যান্টিজেন বেসড করোনা প্রতিষেধক।