অনির্দিষ্টকালের জন্য রিলে অনশনে কৃষকরা, বৈঠকের দিন নির্ধারণের জন্য চিঠি কেন্দ্রের

কৃষকরা জানান, ২৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানের সময় তাঁরা থালা বাজাবেন।

অনির্দিষ্টকালের জন্য রিলে অনশনে কৃষকরা, বৈঠকের দিন নির্ধারণের জন্য চিঠি কেন্দ্রের
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Dec 21, 2020 | 11:09 AM

নয়া দিল্লি: কৃষক আন্দোলনের পারদ আরও চড়ছে । আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রিলে অনশনে (Relay hunger strike) বসছেন তাঁরা। অন্যদিকে, দ্রুত আন্দোলন শেষ করতে পরবর্তী ধাপে আলোচনায় বসার উদ্দেশ্যে কৃষকদের দিন নির্ধারণ করার জন্য চিঠি পাঠাল সরকার।

নভেম্বর মাস থেকে শুরু হওয়া আন্দোলনে ইতিমধ্যেই ২০জন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য রবিবার ‘শ্রদ্ধাঞ্জলী দিবস’ পালন করে কৃষকরা। সেখানেই তাঁরা আরও তীব্রতর আন্দোলনের ডাক দেয়। আন্দোলনের অন্যতম প্রধান কাণ্ডারী স্বরাজ ইন্ডিয়া (Swaraj India)-র প্রধান যোগেন্দ্র যাদব বলেন,”আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসছি। প্রতিদিন ১১জন করে ২৪ঘণ্টা অনশন পালন করবে।” একইসঙ্গে আগামী বুধবার কিষান দিবসে সমস্ত দেশবাসীকে আন্দোলনকারী কৃষকদের সমর্থনে একবেলা উপোস রাখার অনুরোধও জানান তিনি।

সীমান্ত থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)-র বিরুদ্ধে তোপ দেগে কৃষকরা জানান, ২৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত অনুষ্ঠানের সময় তাঁরা থালা বাজাবেন। আন্দোলনকারী যোগেন্দ্র যাদব বলেন,”প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের সময় আমরা সকলে থালা বাজাবো, যাতে ওনার মন কি বাত আমাদের কানে না পৌঁছায়। সেই সময়ে কৃষকেরা প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলবে, আমরা আপনার মন কি বাত শুনে ক্লান্ত, আপনি কবে আমাদের মন কি বাত শুনবেন?”

আরও পড়ুন: আন্দোলন থেকে বাড়ি ফিরেই আত্মঘাতী তরুণ কৃষক

অন্যদিকে রবিবার কেন্দ্রের তরফেও ৪০ জন কৃষক নেতাদের চিঠি পাঠানো হয়েছে আগামী বৈঠকের দিন নির্ধারণের জন্য। কৃষি মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব বিবেক আগরওয়াল (Vivek Agarwal)  চিঠিতে কৃষকদের যাবতীয় দাবি স্পষ্টভাবে জানানোর ও পরবর্তী বৈঠকের দিন নির্ধারণের আবেদন জানিয়েছেন। তিনি জানান, সরকার কৃষকদের সঙ্গে খোলা মনে আলোচনার জন্য প্রস্তুত।

এর আগে কেন্দ্রের সঙ্গে পাঁচ দফা বৈঠকে বসলেও কোনও সুরাহা মেলেনি। সরকার কৃষি আইন মোট সাতটি সংশোধন আনার প্রস্তাব দিলেও কৃষকরা আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই অনড় থেকেছে। যে ফেসবুক (Facebook) ও ইন্সটাগ্রাম (Instagram) অ্যাকাউন্টগুলি ব্যবহার করে কৃষকরা আন্দোলনস্থল থেকে লাইভ (Live) করত, রবিবার আচমকাই তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফেসবুকের তরফে আকস্মিক সমস্যার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হলেও কী কারণে এই পেজগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

বিগত ২৬দিন ধরে চলা কৃষক আন্দোলনে আর্থিক সাহায্য নিয়েও উঠেছে নানা প্রশ্ন, কৃষকদের সতর্কও করা হয়েছে বিদেশ থেকে আসা অর্থ সাহায্য নিয়ে। সেই প্রশ্নের জবাবেই বিকেইউ (BKU) প্রধান নেতা যোগীন্দার উগরাহা বলেন,”বিদেশ থেকে যারা আমাদের অর্থ সাহায্য পাঠাচ্ছেন, তারা অধিকাংশই পঞ্জাবের বাসিন্দা। আমাদের সাহায্য করছেন তারা, এতে সমস্যা কোথায়?”

আরও পড়ুন: জেনারেল শূন্যপদেও আবেদন করতে পারেন সংরক্ষিত প্রার্থীরা : সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ