AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

DA Case in Supreme Court: পিছল DA মামলা, প্রায় ১ মাস পর শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

DA Case in Supreme Court: আজ সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হল না রাজ্য়ের ডিএ মামলার। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে হবে এই মামলার শুনানি।

DA Case in Supreme Court: পিছল DA মামলা, প্রায় ১ মাস পর শুনানি সুপ্রিম কোর্টে
ফাইল ছবি।
| Edited By: | Updated on: Dec 14, 2022 | 2:38 PM
Share

নয়া দিল্লি: বুধবার গোটা রাজ্যের নজর ছিল নয়া দিল্লির দিকে। কারণ ১৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে ছিল রাজ্যের ডিএ মামলার শুনানি। এই শুনানি নিয়ে রাজ্যে ইতিমধ্যেই চড়ছিল পারদ। রাজনৈতিক চাপানউতোর কম হচ্ছে না। এই আবহে বুধবার পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানিই। শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, আজ শুনানি হচ্ছে না ডিএ মামলার। জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে হবে এই মামলার শুনানি। অর্থাৎ, প্রায় এক মাস পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি।

কেন পিছল ডিএ মামলার শুনানি?

বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী ও বিচারপতি ঋষিকেশ রায়ের বেঞ্চেই ছিল রাজ্যের ডিএ মামলা। গতকাল একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের ডিএ মামলার শুনানির ক্ষেত্রে বেঞ্চে বদল ঘটেছে। বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরীর পরিবর্তে এই বেঞ্চে এসেছেন সদ্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত দীপঙ্কর দত্ত। সূত্রের খবর, এদিন এই ডিএ মামলার শুনানির জন্য বিচারপতিদের এই নয়া বেঞ্চ গঠন নিয়ে অভিযোগ তোলে আইনজীবীদের একটি পক্ষ। সূত্রে আরও খবর, আইনজীবীদের এই অভিযোগে অসন্তুষ্ট হয়েছে শীর্ষ আদালত। তাই এই মামলার শুনানি এ দিন বাতিল করে তা জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ডিএ মামলার শুনানিতে বেঞ্চের পুনর্গঠনের পর সেখানে আসেন সদ্য নিযুক্ত বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। এই পরিবর্তনে একপ্রকার খুশিই হয়েছিল কর্মচারী সংগঠন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ও বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হওয়ার আগে তিনি দীর্ঘদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন। কর্মচারী সংগঠনের একাংশ সদস্যদের দাবি, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বেঞ্চে থাকায় এই মামলায় কর্মচারী সংগঠনই সাফল্য পাবে। এছাড়াও বেঞ্চে দুই বাঙালি থাকাতেও এই মামলার রায় তাঁদের পক্ষে যাবে বলে মনে করছিলেন তাঁরা। সেই আশা থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্টও ছড়িয়ে পড়ে।

জানা গিয়েছে, এ দিন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও ঋষিকেশ রায় জানিয়েছেন, সরকারি কর্মচারীরা যা কিছু বলছেন তা ভাল চোখে দেখছে না শীর্ষ আদালত। তারপর সরকারি কর্মচারী সংগঠনের পক্ষের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য আদালতের কাছ থেকে কিছুটা সময় চেয়ে নেন। এবং কর্মচারীরা যদি এমন কিছু বলে থাকেন যা আদালতের নজরে সঠিক নয় তাহলে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী বলেই জানান। তারপরই সুপ্রিম কোর্টের তরফে ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়। এবং পরবর্তী শুনানি বলা হয় জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে। আর এই বিষয়ে সরকারি কর্মচারী সংগঠনের নেতা মলয় মুখোপাধ্যায় টিভি৯ বাংলায় বলেছেন, ‘মাননীয় বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত আমাদের বেঞ্চে এসেছেন। যেহেতু বাঙালি বিচারপতি তাতে স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ কর্মচারীরা উচ্ছ্বাস দেখিয়েছেন। কিন্তু আমরা মনে হয় রাজনীতির স্বীকার হলাম। এরপর যদি রায় আমাদের পক্ষে হয় তাহলে তাঁর একটু অসুবিধা হবে বলে তিনি আর মামলাটি শুনতে চাইলেন না। বললেন, এই মামলাটি অন্য বেঞ্চ শুনবে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল বলছে, এইদিনে রাজ্য সরকার দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে। তবে আমরা রাজনীতির স্বীকার হয়ে গেলাম।’

অন্যদিকে, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্ধারিত ডিসেম্বরের তিন ‘বড়দিনের’ মধ্যে দ্বিতীয় দিনটি ছিল এই ১৪ ডিসেম্বরই। অনেকেই মনে করছিলেন, শুভেন্দু অধিকারী এই ডেডলাইন বুধবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার শুনানির উপর নির্ভর করছিল। তবে, মামলা পিছিয়ে যাওয়ায় নতুন করে জোর রাজনৈতিক চর্চাও শুরু হয়ে গিয়েছে।