CPIM Party Congress: সম্পাদক ইয়েচুরিই, পলিটব্যুরোয় বিমানের জায়গায় রামচন্দ্র, বঙ্গে দলিত-আদিবাসী মুখে জোর দিতে কেন্দ্রীয় কমিটিতে দেবলীনা!
CPIM Politburo: অতীতে ব্রিগেডের ময়দানে দেবলীনা হেমব্রমের ঝাঁঝালো ভাষণ সবার নজর কেড়েছিল। সুবক্তা হিসেবে যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে তাঁর। এর পাশপাশি বামেদের অন্যতম প্রধান আদিবাসী মুখ তিনি। সেই সব দিক বিচার করেই দেবলীনা হেমব্রমকে সামনের সারিতে নিয়ে আসা হয়েছে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
কুন্নুর ও কলকাতা : সিপিএমের পলিটব্যুরো থেকে এবার অব্যাহতি দেওয়া হয় দলের প্রবীণ নেতা বিমান বসুকে। এবারের পলিটব্যুরোতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে নতুন মুখ হিসেবে উঠে এলেন রামচন্দ্র ডোম। বিমান বসুর জায়গায় পলিটব্যুরোতে নিয়ে আসা হয়েছে তাঁকে। পাশাপাশি সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন দেবলীনা হেমব্রম ও সুমিত দে। অতীতে ব্রিগেডের ময়দানে দেবলীনা হেমব্রমের ঝাঁঝালো ভাষণ সবার নজর কেড়েছিল। সুবক্তা হিসেবে যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে তাঁর। এর পাশাপাশি বামেদের অন্যতম প্রধান আদিবাসী মুখ তিনি। সেই সব দিক বিচার করেই দেবলীনা হেমব্রমকে সামনের সারিতে নিয়ে আসা হয়েছে বলে মত অনেকের। অর্থাৎ, দলিত ও অদিবাসীদের সামনে রেখেই সিপিএম এ রাজ্যে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। পলিটব্যুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটিতে রামচন্দ্র ডোম ও দেবলীনা হেমব্রমের অন্তর্ভুক্তি সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, দলিত ও আদিবাসীদের সামনে রাখতে চায় সিপিএম নেতৃত্ব। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে প্রবীণ বাম নেতা বিমান বসুকে পলিটব্যুরো থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে রেখে দেওয়া হয়েছে বিমান বসুকে।
উল্লেখ্য, এতদিন পর্যন্ত সিপিএমের পলিটব্যুরোতে সাত জন বাঙালি সদস্য ছিলেন। কিন্তু বয়সের কারণে হান্নান মোল্লা সরে দাঁড়ানোর ফলে পলিটব্যুরোতেও বাঙালি প্রতিনিধিত্বের সংখ্যা কমল। হান্নান মোল্লার জায়গায় মহারাষ্ট্রের কৃষক নেতা অশোক ধাওয়ালকে পলিটব্যুরোর সদস্য করা হয়েছে। ফলে পলিটব্যুরোয় বর্তমানে বাঙালি প্রতিনিধি থাকলেন ছয় জন। পলিটব্যুরোর ১৭ জন সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন সীতারাম ইয়েচুরি, প্রকাশ কারাট, পিনারাই বিজয়ন, কোদিয়েরি বালাকৃ্ষ্ণণ, বৃন্দা কারাট, মানিক সরকার, মহম্মদ সেলিম, সূর্যকান্ত মিশ্র, বিভি রাঘভুলু, তপন সেন, নীলৎপাল বসু, সুভাষিনী আলি, রামচন্দ্র ডোম, অশোক ধাওয়াল এবং এ বিজয়রাঘবন।
এর পাশাপাশি ২০১৮ সালে হায়দরাবাদে ২২ তম পার্টি কংগ্রেসের পর সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও এ রাজ্য থেকে বাঙালি প্রতিনিধি ছিলেন ১৫ জন। এবার কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাঙালি প্রতিনিধিত্ব থাকছে ১৩ জনের। কেন্দ্রীয় কমিটিতে নতুন অন্তর্ভুক্তি হয়েছে দেবলীনা হেমব্রম, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক শমীক লাহিড়ি এবং নদিয়ার জেলা সম্পাদক সুমিত দে। সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির ৮৫ জনের আসনের মধ্যে ৮৪ জন নির্বাচিত হয়েছে। একটি আসন শূন্য রয়েছে । পশ্চিমবঙ্গ থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির ১৩ জন সদস্যের মধ্যে রয়েছেন সূর্যকান্ত মিশ্র, মহম্মদ সেলিম, শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, রবীন দেব, সুজন চক্রবর্তী, অমিয় পাত্র, আভাস রায় চৌধুরী, রামচন্দ্র ডোম, রেখা গোস্বামী, অঞ্জু কর, শমীক লাহিড়ী (নতুন), সুমিত দে (নতুন) এবং দেবলীনা হেমরম (নতুন)। এছাড়া কেন্দ্রীয় কমিটিতে বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে থাকছেন বিমান বসু ও হান্নান মোল্লা।