Combination Therapy: এক মাসেও না শুকানো ক্ষত ১০ দিনেই সারিয়ে তুলবে এই যন্ত্র! জানুন কীভাবে?
নয়া দিল্লি: স্কুলে বা পাড়ার মাঠে খেলাধুলো করতে গিয়ে হোক বা অফিস টাইমে ভিড় বাসের পিছনে ছুটতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়া- আকছারই আমাদের হাত-পা কেটে যায়। এটা খুবই সাধারণ বিষয়। অনেকে বাড়িতেই ডাক্তারি করেন নিজের উপরে, ওষুধ লাগান ক্ষতস্থান সারানোর জন্য। তবে সমস্যা বাধে মধুমেহ বা ডায়াবেটিস রোগীদের। মধুমেহ থাকার কারণেই কমতে চায় না ক্ষত। […]
নয়া দিল্লি: স্কুলে বা পাড়ার মাঠে খেলাধুলো করতে গিয়ে হোক বা অফিস টাইমে ভিড় বাসের পিছনে ছুটতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়া- আকছারই আমাদের হাত-পা কেটে যায়। এটা খুবই সাধারণ বিষয়। অনেকে বাড়িতেই ডাক্তারি করেন নিজের উপরে, ওষুধ লাগান ক্ষতস্থান সারানোর জন্য। তবে সমস্যা বাধে মধুমেহ বা ডায়াবেটিস রোগীদের। মধুমেহ থাকার কারণেই কমতে চায় না ক্ষত। অনেক সময় সংক্রমণও ছড়িয়ে পড়ে। এবার চোট লাগা বা হাত-পা কেটে যাওয়া নিয়ে চিন্তা নেই আর। এমন এক যন্ত্র আসছে, যা নিমেষেই শুকিয়ে দেবে ক্ষতস্থান। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ারও সম্ভাবনা থাকবে না তাতে। এবং সবথেকে বড় বিষয়, মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যেই থাকবে এই যন্ত্রের দাম।
ক্ষতস্থান সারানোর জন্য এক বিশেষ যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন দিল্লির এইমসের চিকিৎসকরা। এতে ক্ষতস্থান বা অস্ত্রোপচারের ক্ষত অল্প কয়েকদিনেই শুকিয়ে যাবে। কোনও বিশেষ ওষুধ ব্যবহারেরও প্রয়োজন পড়বে না। যত বড়ই ক্ষত হোক না কেন, ৮-১০ দিন ব্যবহার করলেই সেই ক্ষত শুকিয়ে যাবে। কীভাবে সম্ভব?
স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল বায়োডিজাইন-র সহযোগিতায় ক্ষত সারানোর জন্য এক বিশেষ যন্ত্র তৈরি করেছেন এইমসের চিকিত্সকরা। তাঁদের দাবি, বিগত দুই বছরে অন্তত ১০০ জন রোগীর উপর এই যন্ত্র প্রয়োগ করে সাফল্য মিলেছে। ব্যাটারিচালিত এই যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষতস্থানে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। আর এতেই শুকিয়ে যায় ক্ষত। আশেপাশে সংক্রমণও ছড়িয়ে পড়ে না। নেই কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও। বেডসোরে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এটি বিশেষ উপকারী।
কতটা কার্যকরী এই থেরাপি?
এইমসের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যে ক্ষত বা ঘা সারতে সাধারণত মাসখানেক সময় লাগে, তা এই ডিভাইস ব্যবহার করে মাত্র ৭ দিনেই সেই ক্ষত নিরাময় করা সম্ভব। ক্ষতস্থানে কম্বিনেশন থেরাপি করবে এই যন্ত্র।
কীভাবে কাজ করে এই যন্ত্র?
নেগেটিভ প্রেসার এবং ক্রমাগত অক্সিজেন সরবরাহ করেই যন্ত্রটি ক্ষতের দ্রুত পরিচর্যা এবং নিরাময় করা যায়। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, প্রথমে ক্ষতের উপর মাপ করে ফোমের মতো আস্তরণ দেওয়া হয়। তার উপর একটি ফিল্ম দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। এর সঙ্গে জোড়া থাকে একটা নল, যেটা যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত। ওই নল দিয়ে ক্ষতস্থানের উপরে ক্রমাগত নেগেটিভ প্রেসার তৈরি করা হয়, যা ক্ষতস্থান থেকে রস টেনে নেয়। যন্ত্রের সঙ্গে একটি পাত্র থাকে, তার মধ্যে ক্ষতস্থানের রস জমা হয়। অন্য একটি টিউব দিয়ে ক্রমাগাত অক্সিজেন পাঠানো হয় ক্ষতস্থানে। এই অক্সিজেন ত্বকে ঢুকে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে। ফলে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় ক্ষতস্থান।
এই যন্ত্র ব্যবহার করলে প্রতিদিন ক্ষতস্থান পরিচর্যা করার প্রয়োজন নেই। একবার ড্রেসিং করলে, তা ৫ দিন অবধি রাখা যেতে পারে। প্রশিক্ষিত নার্স দিয়ে এই যন্ত্রের সাহায্যে বাড়িতেও চিকিৎসা করা যেতে পারে। বিশেষ করে যারা বেডসোরে আক্রান্ত, তাদের ক্ষত দ্রুত শুকানোর ক্ষেত্রে এই যন্ত্র কাজে লাগতে পারে।
এখনও অবধি এই যন্ত্র বাজারে আসেনি। তবে বাজারে আসলে, সেই যন্ত্রের দাম খুব একটা বেশি হবে না বলেই অনুমান করা হচ্ছে।