নয়া দিল্লি: দেশে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে কয়লা সঙ্কট (Coal Crisis)। মহারাষ্ট্র, গুজরাট, রাজস্থান সহ একাধিক রাজ্যে ইতিমধ্যেই কয়লা সঙ্কটের প্রভাব টের পাওয়া যাচ্ছে। এবার দিল্লি সরকারের তরফেও বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও লোডশেডিংয়ের (Load Shedding) সতর্কতা জারি করা হল। হাসপাতাল থেকে শুরু করে মেট্রো পরিষেবা ব্যহত হওয়ার সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই দিল্লি(Delhi)-র বিদ্যুৎমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন (Satyendar Jain) জরুরি বৈঠকে বসেন গোটা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে। রাজধানীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ জারি রাখতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে নিয়মিত কয়লা সরবরাহের আবেদন জানিয়ে কেন্দ্রের কাছে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, “দাদরি-২ ও উনছাহার বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে অনিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, যেমন দিল্লি মেট্রো ও সরকারি হাসপাতালগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যহত হতে পারে।”
উপ-মুখ্যমন্ত্রী সত্যেন্দর জৈন জানিয়েছেন, দিল্লির মোট যে বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে, তার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ এই দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকেই পূরণ হয়। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে কয়লার জোগানে ঘাটতি দেখা দেওয়ায়, তার সরাসরি প্রভাব পড়ছে রাজধানীর বিদ্যুৎ সরবরাহেও। তিনি জানান, এই গরমের মরশুমে দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন, হাসপাতালে ব্ল্যাক আউটের ক্ষেত্রে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। রাজ্য সরকারের তরফে গোটা পরিস্থিতির দিকেই কড়া নজর রাখা হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষকে যাতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যায় না পড়তে হয়, তার যথাসাধ্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, জাতীয় তাপ বিদ্যুৎ কর্পোরেশনের অধীনে থাকা দাদরি ও ঝাজ্জরের বিদ্য়ুৎকেন্দ্র দুটি তৈরি করা হয়েছিল মূলত দিল্লির বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের জন্য়ই। তবে দুই বিদ্যুৎকেন্দ্রের তরফেই জানানো হয়েছে, তাদের কাছে খুব স্বল্প সংখ্যক কয়লা মজুত রয়েছে। দ্রুত কয়লার জোগানের ব্যবস্থা না করা হলে ব্ল্যাক আউট এড়ানো সম্ভব হবে না।
আরও পড়ুন: Nitish Kumar-Tejashwi Yadav: এবার নীতীশের ইফতার পার্টিতে হাজির তেজস্বী, জোড়া লাগছে ভাঙা সম্পর্ক?