Delhi Accident: ‘জানতাম চাকায় জড়িয়ে রয়েছে যুবতীর দেহ, তবুও গাড়ি থামাইনি…’ অঞ্জলিকাণ্ডে বিস্ফোরক বয়ান অভিযুক্তের
অভিযুক্ত জেরায় জানিয়েছেন, তিনি জানতেন গাড়ির চাকার নীচে ওই যুবতীর দেহ জড়িয়ে রয়েছে। তা জানা সত্ত্বেও তাঁরা গাড়ি চালিয়ে এগিয়ে যায়।
নয়া দিল্লি: নববর্ষের রাতে বন্ধুর সঙ্গে পার্টিতে যাওয়ার পথেই মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছিল অঞ্জলি শর্মা নামক এক যুবতীর। পিছন থেকে তাঁর স্কুটিতে ধাক্কা মারে একটি গাড়ি (Car Accident)। ছিটকে পড়ে যান অঞ্জলি ও তাঁর বন্ধু। গাড়ির চাকায় পা জড়িয়ে যায় অঞ্জলির। সেই অবস্থাতেই তাঁকে ১২ কিলোমিটার টেনে হিচড়ে নিয়ে যায় ঘাতক গাড়িটি। দিল্লির সুলতানপুরীর ভয়ঙ্কর সেই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ (Police)। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৫ অভিযুক্তকে। অভিযুক্তদের জেরা করেই এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য এল পুলিশের হাতে। অভিযুক্ত জেরায় জানিয়েছেন, তিনি জানতেন গাড়ির চাকার নীচে ওই যুবতীর দেহ জড়িয়ে রয়েছে। তা জানা সত্ত্বেও তাঁরা গাড়ি চালিয়ে এগিয়ে যায়। অভিযুক্তের দাবি, দুর্ঘটনার পরে তাঁরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। গাড়ি থামিয়ে যদি ওই যুবতীক উদ্ধার করে, তাহলে তাদের নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হতে পারে, এই ভয়েই তাঁরা দুর্ঘটনার পরও ১২ কিলোমিটার চালিয়ে নিয়ে যায় গাড়িটি।
দিল্লি পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ১ জানুয়ারির রাতে নয়া দিল্লির কাঞ্জাওয়ালা এলাকা থেকে অঞ্জলি সিং (২০)-র দেহ উদ্ধার হয়। রাস্তার এক পাশে পড়েছিল তাঁর দেহ, গায়ের পোশাক ছিঁড়ে গিয়েছিল, অর্ধেক চামড়াও উঠে গিয়েছিল। পিঠের দিক এতটাই ঘষে গিয়েছিল যে তাঁর ফুসফুসও প্রায় বেরিয়ে এসেছিল। পোস্টমর্টেম রিপোর্টে জানা যায়, অঞ্জলির শরীরে মোট ৪০টি আঘাত ছিল।
তদন্তে নেমে রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। সেখানেই দেখা যায়, অঞ্জলির দেহ ঘষটাতে ঘষটাতে নিয়ে আসছে ঘাতক গাড়িটি। জানা যায়, দিল্লির সুলতানপুরীতে ঘটেছিল দুর্ঘটনাটি, অঞ্জলির পা চাকায় জড়িয়ে যাওয়ায় তাঁর দেহ ১২ কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তা টেনে হিচড়ে নিয়ে যায় গাড়িটি।
ফুটেজ দেখেই সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছিল পাঁচ যুবককে। প্রাথমিকভাবে তারা জানিয়েছিল যে গাড়িতে অত্যন্ত জোরে গান বাজায় তারা যুবতীর চিৎকার শুনতে পাননি, দেহও দেখতে পাননি। রাস্তায় ইউ টার্ন নেওয়ার সময়ে যুবতীর দেহ নজরে আসে। তারপরই গাড়ি থামায় তাঁরা। তবে ফের একবার জেরা করতেই অভিযুক্তরা বয়ান বদলেছে। তাঁদের দাবি, প্রথমবার মিথ্যা কথা বলেছিলেন তাঁরা। দুর্ঘটনার পরই তাঁরা অঞ্জলির দেহ দেখতে পেয়েছিল। কিন্তু পুলিশে মামলার ভয়ে তাঁরা এতটাই ভীত ছিল যে দেহটি চাকায় জড়ানো অবস্থায় দেখেও গাড়ি থামায়নি। যতক্ষণ না দেহটি রাস্তার ধারে ছিটকে পড়ে যায়, ততক্ষণ অবধি ঘষটাতে ঘষটাতে মৃতদেহটিকে নিয়ে যায় তাঁরা।