নয়া দিল্লি: ফের পিছিয়ে গেল সাংবাদিক প্রিয়া রমানির বিরুদ্ধে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এমজে আকবরের মানহানির মামলার রায় ঘোষণা। বুধবার দিল্লি হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়, আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।
গোটা দেশ যখন মিটু ঝড়ে কাঁপছিল, তখনই সাংবাদিক তথা তৎকালীন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এমজে আকবর (MJ Akbar)-র বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন আরেক সাংবাদিক প্রিয়া রমানি (Priya Ramani)। তিনি একটি পত্রিকায় লিখেছিলেন ১৯৯৪ সালে একটি চাকরির ইন্টারভিউয়ের সময় এশিয়ান এজ সংবাদপত্রের তৎকালীন সম্পাদক এম জে আকবর তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছিল। প্রিয়া রমানির বিস্ফোরক বয়ানের পরই আরও অনেক মহিলা সাংবাদিকই আকবরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন।
একাধিক যৌন হেনস্থার অভিযোগের ভিত্তিতেই ঝড় ওঠে রাজনৈতিক মহলে। সরকারের চাপে বাধ্য হয়েই মন্ত্রীপদ থেকে পদত্যাগ করেন আকবর। এরপরই ২০১৮ সালে অক্টোবর মাসে রমানির বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ আনেন আকবর।
আরও পড়ুন: না কবুল, না খারিজ! সমঝোতায় গেল ইন্ডিগো
সম্প্রতি মামলার চূড়ান্ত পর্যায়ের শুনানিতে আকবর জানিয়েছিলেন, দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে গড়ে তোলা সম্মান এক নিমেষে মাটিতে মিটিয়ে দিয়েছে রমানি। ১ ফেব্রুয়ারি আকবর ও রমানি-দুই পক্ষের বয়ান রেকর্ড করা হয়। আজ রায় ঘোষণার কথা থাকলেও মুখ্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্র কুমার পাণ্ডে বলেন, “মামলার লিখিত বয়ান দেরীতে জমা হওয়ায় আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণা করা হবে।”
এম জে আকবরের তরফে মামলা লড়ছিলেন গীতা লুথরা। অন্যদিকে, প্রিয়া রমানির হয়ে মামলা লড়ছিলেন রেবেকা জন। এম জে আকবরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ভিত্তিতে গীতা লুথরা বলেন, “৩০ বছর ধরে এম জে আকবর একের পর এক ইট গেঁথে নিজের সম্মান তৈরি করেছিলেন। রমানির অভিযোগ এক নিমেষেই সেই সম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দেয়।” আদালতে তিনি প্রশ্ন তোলেন, যদি আকবর যৌন হেনস্থাই করে থাকতো, তবে ৩০ বছর ধরে কেন চুপ করে ছিলেন তিনি?
আরও পড়ুন: বন্দিদশার অবসান, চিনে আটকে থাকা ১৮ নাবিককে নিয়ে দেশে ফিরছে এমভি অনস্তেশিয়া