নয়া দিল্লি: রাজধানীতে ক্রমশ বাড়ছে করোনা (COVID-19)। কীভাবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ আনা যাবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে দিল্লি সরকার (Delhi Government)। বাধ্যতামূলক করা হয়েছে মাস্ক (Mask) পরার নিয়ম। এবার সংক্রমণ রুখতে আরও এক ধাপ এগোল দিল্লি সরকার। সরকারি হাসপাতালগুলিতে বিনামূল্যে করোনার প্রিকশন ডোজ় দেওয়ার ঘোষণা করা হল। বৃহস্পতিবারই রাজ্য সরকারের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সীদের জন্য সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে প্রিকশন ডোজ় দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সম্প্রতিই রাজ্যে যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
কেজরীবাল সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, উর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকতে, সমস্ত দিল্লিবাসীকে প্রিকশন ডোজ়ের সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সীরা ২১ এপ্রিল থেকেই সরকারি হাসপাতালগুলিতে বিনামূল্যে করোনা টিকার প্রিকশন ডোজ় নিতে পারবেন। ইতিমধ্যেই কো-উইন প্ল্যাটফর্মেও প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সীরা অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করে বা সরাসরি টিকাকেন্দ্রে গিয়ে প্রিকশন ডোজ় নিতে পারবেন।
উল্লেখ্য, বিগত এক সপ্তাহ ধরেই উর্ধ্বমুখী রাজধানীর করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টাতেই সেখানে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯৬৫ জন। সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে একজনের। বর্তমানে রাজ্যে সংক্রমণের হার ৪.৭১ শতাংশ। এর আগে বুধবারই দিল্লিতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের গণ্ডি পার করেছিল, যা চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের পর সর্বোচ্চ সংক্রমণ।
সংক্রমণ বাড়ার পরই রাজ্য সরকারের তরফে ফের একবার করোনাবিধি ফিরিয়ে আনা হয়েছে। খোলা জায়গায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে মাস্ক না পরলে ৫০০ টাকা করে জরিমানার নিয়মও ফের চালু করা হয়েছে। গত সপ্তাহের শুক্রবারই রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল যে, শীঘ্রই বিনামূল্যে করোনার প্রিকশন ডোজ় দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। বর্তমানে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের প্রিকশন ডোজ় ২২৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছিল। বেসরকারি কেন্দ্রগুলি এর উপরে সর্বাধিক ১৫০ টাকা চার্জ নিতে পারত পরিষেবা বাবদ।