
নয়া দিল্লি: আরজি কর কাণ্ডের সময়ই ওই মেডিক্যাল কলেজের দুর্নীতি নিয়ে গুচ্ছ প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। যা নিয়ে তোলপাড় চলেছিল গোটা রাজ্যে। একইসঙ্গে রাজ্য়ের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে প্রায়শই প্রশ্ন তুলে থাকে বিরোধীরা। এবার ঝড় উঠল সংসদেও। আর তাতেই ঘোরতর প্রশ্নের মুখে চিকিৎসা শিক্ষা। প্রশ্ন তুলেছিলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তার উত্তরেই শমীককে এমন কিছু তথ্য জানাল কেন্দ্রীয় সরকার তা নিয়েই শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
কেন্দ্র বলছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ৩৪টি মেডিকেল কলেজে শিক্ষাকর্মী, পরিকাঠামো বা ক্লিনিক্যাল সুবিধার ক্ষেত্রে গুরুতর ঘাটতি ধরা পড়েছে। আরও উদ্বেগের বিষয়, ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে এই সংখ্যা বেড়ে ৩৭টি কলেজে পৌঁছেছে।
উদ্বেগ বেড়েছে হাওড়ার সঞ্জীবন মেডিক্যাল কলেজ নিয়েও। কেন্দ্রের তথ্য বলছে, সঞ্জীবন মেডিক্যাল কলেজ ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশন (NMC)-এর কোনও অনুমোদন ছাড়াই চালানো হচ্ছে। এখানেই শেষ নয়, বলা হচ্ছে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে NMC পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজে MD/MS কোর্সের ২৬টি পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট (PG) সিট কমিয়ে দিয়েছে। বাঁকুড়া সম্মিলনী থেকে মেডিক্যাল কলেজ কলকাতা সর্বত্রই একই ছবি। শিক্ষাকর্মীর অভাব, দুর্বল পরিকাঠামো ও পর্যাপ্ত ক্লিনিক্যাল লোডের অভাবে আসনগুলি কমানো হয়েছে।
অন্যদিকে এদিনই আবার লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে বাংলার বকেয়া নিয়ে পঞ্চায়েতিরাজ মন্ত্রী রাজীব রঞ্জন সিংকে প্রশ্ন করেন কাকলি ঘোষ দোস্তিদার। জবাবে মন্ত্রী বাংলাকে অপমান করেছেন বলে অভিযোগ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের। মন্ত্রী বলেন, সারা দেশের আইন বাংলায় চলে না। আগে বাংলায় দেশের আইন চালান। মন্ত্রীর এই বক্তব্য অপমানজনক বলে দাবি কাকলীর।