Congress: ১৪০০ কোটিরও বেশি সম্পত্তি! কংগ্রেসকে বড় ধাক্কা দেবেন দেশের সবথেকে ধনী বিধায়ক?
DK Shivakumar: কর্নাটকে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল। অভিজ্ঞতা বনাম সংগঠনের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত প্রাধান্য পেয়েছিল বুড়ো হাড়ের অভিজ্ঞতাই। মুখ্যমন্ত্রী পদ দেওয়া হয় সিদ্দারামাইয়াকে। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন ডিকে শিবকুমার। তখনই শোনা গিয়েছিল, আড়াই বছর পর মুখ্যমন্ত্রী বদল হতে পারে।

বেঙ্গালুরু: একের পর এক নির্বাচনে হার। জাতীয় স্তরেও গুরুত্ব হারাচ্ছে কংগ্রেস। বিহার নির্বাচনে যখন লজ্জাজনক হার হয়েছে কংগ্রেসের (Congress), সেই মুহূর্তেই বড় ভাঙনের খবর। কংগ্রেস শাসিত রাজ্যেই বড় ধাক্কা। দলের উপরে ক্ষুব্ধ ডিকে শিবকুমার (DK Shivakumar)। ছাড়তে পারেন কর্নাটকের কংগ্রেস সভাপতির পদ। এই ইঙ্গিত তিনি নিজেই দিলেন। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী গদি নিয়ে যে টানাপোড়েন এখনও চলছে, তা মনে করিয়ে দিলেন কংগ্রেসকে।
কর্নাটকে কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছিল। অভিজ্ঞতা বনাম সংগঠনের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত প্রাধান্য পেয়েছিল বুড়ো হাড়ের অভিজ্ঞতাই। মুখ্যমন্ত্রী পদ দেওয়া হয় সিদ্দারামাইয়াকে। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন ডিকে শিবকুমার। তখনই শোনা গিয়েছিল, আড়াই বছর পর মুখ্যমন্ত্রী বদল হতে পারে। সিদ্দারামাইয়ার বদলে তখন শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। তবে প্রতিশ্রুতিই সার। কংগ্রেস এই কাণ্ড এর আগেও রাজস্থানের সচিন পটেল থেকে শুরু করে ছত্তীসগঢ়ের টিএস দেও- একাধিক নেতার সঙ্গে করেছে।
এবার উপমুখ্যমন্ত্রী পদ ও দলের রাজ্য স্তরের শীর্ষ পদ ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিলেন ডিকে শিবকুমার। বুধবার তিনি বলেন, “আমি আজীবন পদ ধরে রাখতে পারি না…সাড়ে পাঁচ বছর হয়ে গিয়েছে, মার্চে ছয় বছর হবে।”
তবে সমর্থকদের আশ্বাস দিয়ে বলেন যে পদ ছাড়লেও, তিনি দলে প্রথম সারিতেই থাকবেন। “কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট থাকব কিনা, সেটা আলাদা বিষয়..তবে আমার সময়ে আমি রাজ্যে ১০০টি কংগ্রেস অফিস খুলতে চেয়েছি…, উপমুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর আমি এই দায়িত্ব থেকে নিষ্কৃতি চেয়েছিলাম, কিন্তু রাহুল গান্ধী ও মল্লিকার্জুন খাড়্গে আমায় থাকতে বলেছিলেন, তাই আমি দায়িত্ব পালন করেছি।”
অনুষ্ঠান শেষেও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিবকুমার বলেন যে তিনি উদাহরণ সৃষ্টির চেষ্টা করছিলেন যে কেউ কখনও চিরস্থায়ী নয়।
কেন শিবকুমার এত গুরুত্বপূর্ণ?
২০২৩ সালের কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে ডিকে শিবকুমারের কাঁধে ভর করেই ভোটের বৈতরণী পার করেছিল কংগ্রেস এবং বিজেপিকে হারাতে সক্ষম হয়েছিল। তবে ‘এক ব্যক্তি, এক পদে’র তত্ত্ব খাড়া করেই মুখ্য়মন্ত্রী পদ দেওয়া হয়েছিল সিদ্দারামাইয়াকে, যেহেতু ২০২০ সালে ডিকে শিবকুমারকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরের জুন মাসে শিবকুমারের শিবির কংগ্রেসের শীর্ষনেতাদের ক্ষমতা ভাগাভাগির কথা মনে করিয়ে দেয়। সেই সময় রণদীপ সূরজেওয়ালাকে পাঠিয়ে কংগ্রেস পরিস্থিতি সামাল দিলেও, এখন শিবকুমার ও তার সমর্থকরা ফের একবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মুখ্যমন্ত্রীর পদের দাবিই জানাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস কী করে, তা-ই দেখার।
