Shashi Tharoor: ‘ভারতের ধৈর্যের পরীক্ষা নিও না’, পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি শশীর
Shashi Tharoor: শশী থারুর বলেন, ভারতের অপারেশন সিঁদুরে জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তৈবার যে জঙ্গিরা মারা গিয়েছিল, তাদের শেষকৃত্যে পাকিস্তানের সেনা কর্তাদের দেখা গিয়েছিল। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।

ওয়াশিংটন: সীমান্ত সন্ত্রাস নিয়ে পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ভারত শান্তি চায়। কিন্তু, সহ্যের সীমা রয়েছে। সীমান্ত সন্ত্রাসে মদত দিলে ভারত চুপ করে বসে থাকবে না। পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তাঁর বক্তব্য, “ভারতের ধৈর্যের পরীক্ষা নিও না।”
অপারেশন সিঁদুর ও সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের ভূমিকার কথা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে ভারতের প্রতিনিধি দলগুলি। শশী থারুরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আমেরিকা পৌঁছেছে। সেখানে ইয়ং প্রফেশনালদের সঙ্গে আলোচনায় পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় নিয়ে পাকিস্তানকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ১৫ দিনের মাথায় পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জায়গায় আঘাত হানে ভারতীয় সেনা। একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়। জঙ্গি হামলার জবাব দেওয়া ছাড়া ভারতের কাছে অন্য কোনও পথ ছিল না বলে মন্তব্য করেন শশী।
দেশের সব মানুষকে দারিদ্রসীমার উপরে তুলে আনাই ভারতের এখন লক্ষ্য বলে জানান শশী থারুর। সেখানে এই ইস্যুতে ভারত সময় নষ্ট করতে চায় না । কিন্তু, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদে ফের মদত দিলে ভারত যোগ্য জবাব দেবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন। শশী থারুর বলেন, “সন্ত্রাসবাদে মদত দিলে পাকিস্তানকে তার মূল্য চোকাতে হবে।”
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের জড়িত থাকার প্রমাণ কি কোনও দেশ চেয়েছে? প্রশ্নের জবাব থারুর বলেন, “ভারতের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। কিন্ত কোনও দেশ সেই প্রমাণ দেখতে চায়নি।” তবে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের জড়িত থাকা নিয়ে তিনটি পর্যবেক্ষণের কথা বলেন তিনি। শশী বলেন, প্রথমত, জঙ্গি হামলায় মদত দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে পাকিস্তানের। মুম্বই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ওসামা বিন লাদেন যে তাদের দেশে সুরক্ষিত রয়েছে, তাও অস্বীকার করেছিল। তিনি বলেন, পাকিস্তান যতক্ষণ না হাতেনাতে ধরা পড়ছে, ততক্ষণ অস্বীকার করেই চলে।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর দায় স্বীকার করেছিল দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামে একটি জঙ্গি সংগঠন। যারা পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবার ছায়া সংগঠন। পরে টিআরএফ তাদের বিবৃতি প্রত্যাহার করে। শশী বলেন, টিআরএফের বিবৃতি সারা বিশ্ব দেখেছে।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের মদতের কথা তুলে ধরতে গিয়ে তৃতীয় পর্যবেক্ষণ কংগ্রেস এই সাংসদ বলেন, ভারতের অপারেশন সিঁদুরে জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর-ই-তৈবার যে জঙ্গিরা মারা গিয়েছিল, তাদের শেষকৃত্যে পাকিস্তানের সেনা কর্তাদের দেখা গিয়েছিল। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। একইসঙ্গে তিনি বলেন, ভারত এমন দেশ নয়, যারা জোরালো ভিত্তি ছাড়া সেনা অভিযান চালাবে।





