নয়া দিল্লি : করোনার কোনও ওষুধ এখনও আসেনি দেশের বাজারে। মোলনুপিরাভির (Molnupiravir) ব্যবহার নিয়ে ভাবনা-চিন্তা চললেও এখনও অনুমোদন দেওয়া হয়নি দেশে। করোনা অতিমারির শুরু থেকেই বিভিন্ন ওষুধ পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় চিকিৎসকরা যে সব ওষুধ ব্যবহারের কথা বলেছিলেন, এ বার সেগুলিও বাদ পড়েছে। এইমসের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে কোভিড চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়া গাইডলাইন প্রকাশ করেছে আইসিএমআর। আর সেই গাইডলাইনে স্টেরয়েড যথাসম্ভব ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গাইডলাইনে উল্লেখ করা হয়েছে, করোনা আক্রান্তের চিকিৎসায় প্রয়োজন ছাড়া স্টেরয়েড ব্যবহার করা হলে বিপদ বাড়তে পারে। বিশেষত যাঁদের ক্ষেত্রে অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না, তাঁদের শরীরে স্টেরয়েড প্রবেশ করলে অন্য কোনও ইনফেকশন বা সংক্রমণ দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। যদি সংক্রমণের শুরুতেই বেশি ডোজ়ের স্টেরয়েড দেওয়া হয় বা বেশি দিন ধরে স্টেরয়েড দেওয়া হয়, তাহলে মিউকরমাইকোসিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে জানানো হয়েছে গাইডলাইনে।
করোনা আক্রান্তদের তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মৃদু, মাঝারি ও তীব্র উপসর্গের রোগীদের জন্য আলাদা আলাদা গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। শ্বাসনালীতে সংক্রমণ কতটা হয়েছে, শ্বাসকষ্ট আছে কি না, এ সবের ওপর নির্ভর করেই রোগীদের ভাগ করা হয়েছে।
ওষুধের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে আইভারমেকটিন, ডক্সিসাইক্লিন, ফ্যাবিপিরাভির। মোলনুপিরাভির ও মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডিকেও চিকিৎসা পদ্ধতিক অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। প্রয়োজন ছাড়া ওষুধ না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
করোনা আক্রান্ত হওয়ার ২ থেকে ৩ সপ্তাহ পরও যদি কাশি হতে থাকে, তাহলে আক্রান্তকে টিউবারকিউলোসিস পরীক্ষা করাতে হয়। কাদের মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে, সে কথাও উল্লেখ করা হয়েছে নতুন গাইডলাইনে। হাইপারটেনশন, হৃদরোগ জনিত সমস্যা, ডায়াবেটিস, এইচআইভি, টিউবারকিউলোসিস, ফুসফুস- লিভার বা কিডনির কোনও সমস্যা, অতিরিক্ত মেদ থাকলে করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি থাকে।
আরও পড়ুন : Congress leader on Modi: ‘মোদীকে মারতে পারি, গালিগালাজ করতে পারি’, বিতর্কিত মন্তব্য নেতার, দেখুন ভিডিয়ো
মাঝারি বা তীব্র উপসর্গ থাকলে বেশ কিছু পরীক্ষা করানোর কথা বলা হয়েছে গাইডলাইনে। আগেও পরীক্ষা করার বিষয়টি গাইডলাইনের অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে, এবার তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ব্লাড সুগার টেস্ট। এর আগে যে পরীক্ষাগুলি গাইডলাইনের অন্তর্ভুক্ত ছিল, সেগুলি হল সিআরপি ও ডি জাইমার, সিবিসি বা কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট, কিডনি পরীক্ষা, লিভার পরীক্ষা।