AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Air India: স্বপ্ন ছিল তিন সন্তানকে নিয়ে লন্ডনে ঘর গোছানোর, এক লহমায় সব চাপা পড়ে গেল ধ্বংসস্তূপের নীচে

Air India Plane Crash: বিমানে বসে একটি সেলফি তুলেছিলে কোমি। পাশাপাশি বসে রয়েছেন তিনি ও তাঁর স্বামী ড. প্রতীক যোশী। একটু দূরে একসঙ্গে বসে রয়েছে তাদের দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান।

Air India: স্বপ্ন ছিল তিন সন্তানকে নিয়ে লন্ডনে ঘর গোছানোর, এক লহমায় সব চাপা পড়ে গেল ধ্বংসস্তূপের নীচে
| Updated on: Jun 13, 2025 | 12:34 AM
Share

আহমেদাবাদ: বছর দশেক আগে বিয়ে হয়েছে। রয়েছে তিন সন্তান। কিন্তু কর্মসূত্রে একসঙ্গে থাকা হয়ে উঠছিল না। সন্তানদের নিয়ে ভারতে একাই সংসার সামলাচ্ছিলেন ড. কোমি ব্যাস। পেশায় চিকিৎসক কোমি শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেলেছিলেন। সন্তানদের নিয়ে স্বামীর কাছেই চলে যাবেন, সেখানেই পাতবেন সংসার। স্বপ্ন সত্যি হওয়ার আর কয়েক ঘণ্টা বাকি ছিল। একসঙ্গেই ছিলেন তাঁরা। শুধু সংসারটা আর লন্ডনে পাতা হল না। এক লহমায় সব স্বপ্ন চাপা পড়ে গেল বিমানের ধ্বংসস্তূপের নীচে।

ছবিতে যাদের হাসিমুখে দেখা যাচ্ছে, তাদের মুখটা হয়ত দেখলে আর চেনাও যাবে না, এতটাই বীভৎস দুর্ঘটনার মুখে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদের দুর্ঘটনায় একসঙ্গে মৃত্যু হল পরিবারের পাঁচ সদস্যের।

বিমানে বসে একটি সেলফি তুলেছিলে কোমি। পাশাপাশি বসে রয়েছেন তিনি ও তাঁর স্বামী ড. প্রতীক যোশী। একটু দূরে একসঙ্গে বসে রয়েছে তাদের দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান। ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে সবাই হাসছে তারা। যমজ পুত্র সন্তানদের বয়স ৫। তাদের নাম প্রদ্যুৎ ও নকুল। আর কন্যা মিরায়ার বয়স আট।

জানা গিয়েছে উদয়পুরের হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন কোমি ব্যাস। সেই চাকরি ছেড়েই লন্ডনে চলে যাচ্ছিলেন তিনি। অভিশপ্ত বিমানে চেপেই যাচ্ছিলেল লন্ডনের উদ্দেশে। তার আগেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। জানা গিয়েছে, দু দিন আগেই স্ত্রীকে নিতে ভারতে এসেছিলেন প্রতীক। এদিন পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাঁদের বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে যান। ওড়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই এই ঘটনা। শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারে।