গুরুগ্রাম: হরিয়ানার গুরুগ্রামে ঘটল এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড। নিজের ছেলের হাতেই খুন হলে ৬০ বছর বয়সী এক প্রৌঢ়। ফারুখনগরের এই ঘটনায় তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন সকলে। মঙ্গলবারই ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা। জানা গিয়েছে, এই ঘটনার অভিযুক্তের দূর সম্পর্কের ভাই তাঁকে সাহায্যে করেছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম কৃষ্ণণ।
পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে ঘটনায় মৃত ব্যক্তির বড় ছেলে সন্দীপ। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা তিন বোন ও দুই ভাই। বিয়ে হয়ে যাওয়ার কারণে বোনেরা সেখানে থাকেন না। নিজের বাবা মার সঙ্গে ওই বাড়িতেই থাকতেন সন্দীপ ও তাঁর অভিযুক্ত ভাই। সন্দীপ জানিয়েছেন, ঘটনার দিন তাঁর মা-বাবা বাড়ির নিচের তলায় ঘুমোচ্ছিলেন এবং তিনি বাড়ি ওপরের তলে ঘুমোচ্ছিলেন। এই দিনই মাঝরাতে অভিযুক্ত মনজিৎ মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে ফেরে। তাঁর আত্মীয় ভাই রাজেশও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। নেশার ঘোরে তাঁরা বাড়ির দরজায় প্রস্রাব করা শুরু করেন।
সন্দীপের অভিযোগ, “এই ঘটনার কথা জানতে পেরেই আমার মা তাদের বাধা দেন এবং চিৎকার চেঁচামেচি করেন। এরপরেই এক কথা দুকথা মায়ের সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়ে যায়। হঠাৎ করেই মাকে পাথর দিয়ে আক্রমণ করেন ওই দুই অভিযুক্ত।”
“আওয়াজ পেয়ে বাবা বাইরে বেরিয়ে আসেন এবং আমার মাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। সেই সময়ে বাবাকেও আক্রমণ করেন তাঁরা। এরপর অভিযুক্তের স্ত্রী ওপরে গিয়ে আমাকে ঘুম থেকে তোলেন। আমি নিচে আসার আগেই ওরা দু’জন আমার বাবাকে গুরুতর জখম করে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেন।”
মারাত্মক আহত অবস্থায় ওই প্রৌঢ়কে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেইখানে তাঁর মৃত্যু হয়। ডাক্তারা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত রক্তপাতের ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মণজিৎ ও তাঁর সঙ্গী রাজেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ড সংহিতার ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত দুইজনের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশের আশা দ্রুত তাদের আটক করা হবে।
আরও পড়ুন Bangla Awas Yojana: রঙ দেখে দেওয়া হচ্ছে ঘর তৈরির টাকা! তৃণমূলের বিরুদ্ধে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ