AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jacqueline Fernandez: অপরাধের কালো টাকা জেনে-বুঝে ভোগ করেছেন! জ্যাকলিনের কীর্তি ফাঁস করল ইডি

Delhi High Court: ইডির তরফে বলা হয় যে প্রাথমিকভাবে জ্যাকলিন তাঁর বয়ানে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এটা বোঝাতে চেয়েছিলেন, যে তিনি চন্দ্রশেখর তাঁকে ফাঁসিয়েছে। কিন্তু তাঁকে যে ফাঁসানো হয়েছে, এমন কোনও গ্রহণযোগ্য তথ্য তিনি তদন্তের সময় দিতে পারেননি।

Jacqueline Fernandez: অপরাধের কালো টাকা জেনে-বুঝে ভোগ করেছেন! জ্যাকলিনের কীর্তি ফাঁস করল ইডি
জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজImage Credit: Facebook
| Updated on: Jan 31, 2024 | 8:10 AM
Share

নয়া দিল্লি: ২০০ কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণা মামলায় এবার আরও বিপাকে বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। দিল্লি হাইকোর্টে জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে হলফনামা জমা দিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ জানাল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি,অপরাধের টাকা জেনেশুনে ভোগ করেছেন জ্যাকলিন। আর্থিক প্রতারণায় অভিযুক্ত ‘কন-ম্যান’ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জড়িত মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর খারিজের আর্জি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী। সেই আবেদনের ভিত্তিতে এবার ইডির তরফে আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে অভিযোগের ফিরিস্তি জানানো হল।

মামলাটির শুনানি ছিল দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি মনোজ কুমার ওরির বেঞ্চে। ইডির হলফনামার প্রেক্ষিতে জবাব দেওয়ার জন্য সেই সময় প্রস্তুত ছিলেন না জ্যাকলিনের আইনজীবী। এই হলফনামার জবাব দেওয়ার জন্য তিনি আদালতের কাছে সময় চেয়ে নেন। আগামী ১৫ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য স্থির করেছে হাইকোর্ট।

উল্লেখ্য, ইডির তরফে জ্যাকলিনের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে ধরা হয়। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত সবসময় চন্দ্রশেখরের সঙ্গে তাঁর আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি গোপন করেছেন জ্যাকলিন। ইডি তরফে বলা হয়, ‘জ্যাকলিন এখনও সত্য গোপন করে যাচ্ছেন। চন্দ্রশেখর গ্রেফতার হওয়ার পর জ্যাকলিন তাঁর ফোন থেকে সব ডেটা মুছে ফেলেছিলেন। এটা প্রমাণ নষ্ট করার সমান। এমনকী তিনি নিজের সমকর্মীদের প্রমাণ নষ্ট করে ফেলতে বলেছিলেন। যেসব প্রমাণ এখনও হাতে এসেছে, তাতে সন্দেশের কোনও অবকাশ থাকে না যে অপরাধের থেকে আয়কে তিনি ভোগ করেছেন, ব্যবহার করেছেন। এর থেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে জ্যাকলিন জেনেশুনে চন্দ্রশেখরের অপরাধের টাকা ব্যবহারে জড়িত ছিলেন।’

ইডির তরফে আরও বলা হয় যে প্রাথমিকভাবে জ্যাকলিন তাঁর বয়ানে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এটা বোঝাতে চেয়েছিলেন, যে তিনি চন্দ্রশেখর তাঁকে ফাঁসিয়েছে। কিন্তু তাঁকে যে ফাঁসানো হয়েছে, এমন কোনও গ্রহণযোগ্য তথ্য তিনি তদন্তের সময় দিতে পারেননি। ইডির দাবি, চন্দ্রশেখরের অপরাধমূলক কাজকর্মের বিষয়ে তিনি (জ্যাকলিন) আগে থেকেই অবগত ছিলেন। কিন্তু তারপরও তিনি নিজের ও পরিবারের লোকেদের জন্য সেই অপরাধের টাকা নিতে থাকেন ও ভোগ করতে থাকেন।