Coal Scam: কয়লাকাণ্ডে দ্বিতীয়বার ইডির সমন মলয় ঘটককে, এবারও এড়ালেন হাজিরা
Moloy Ghatak: বাংলা নির্বাচনের ঠিক আগে এ রাজ্যে সামনে আসে নতুন কেলেঙ্কারি। অবৈধভাবে কয়লা পাচার করে উঠত কোটি কোটি টাকা।
নয়া দিল্লি: কয়লা পাচার মামলায় (Coal Scam) ফের রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে (Moloy Ghatak) তলব করল ইডি। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। সূত্রের খবর, এদিনও হাজিয়ে এড়িয়ে গিয়েছেন মলয়। ইডি সূত্রে খবর, এদিন হাজিরা না দিলে আবারও সমন পাঠানো হবে তাঁকে।
ইডি সূত্রে খবর, রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের বিধানসভা কেন্দ্র আসানসোল উত্তর থেকেও কয়লা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। বেআইনিভাবে কয়লা উত্তোলনের নজিরও রয়েছে এই এলাকায়। পাচারকারীদের সঙ্গে এলাকার প্রভাবশালীদের যোগেরও একটা সূত্র তদন্তকারীরা পেয়েছেন। এরই মধ্যে চলতি মাসের প্রথমেই মলয় ঘটককে সমন পাঠানো হয় দিল্লি থেকে। জামনগর হাউজে ইডির (ED) দফতরে ডেকে পাঠানো হয় রাজ্যের আইনমন্ত্রীকে।
যদিও সেই হাজিরা তিনি এড়িয়ে যান। তবে কেন এখন হাজির হতে পারছেন না তা স্পষ্ট নয়। তখনই মনে করা হয়েছিল, আবারও তলব করা হবে তাঁকে। সেই মতোই বৃহস্পতিবার সমন পাঠানো হয় আইনমন্ত্রীকে। কিন্তু ইডি সূত্রে খবর, এদিনও দিল্লি যাচ্ছেন না মলয় ঘটক। ইমেল মারফৎ তা তিনি জানিয়েছেন বলেও সূত্রের খবর। তবে এই হাজিরাও কেন তিনি এড়িয়ে গেলেন, তা স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে কয়লাকাণ্ডে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে ডেকে পাঠায় ইডি। তাঁর স্ত্রী রুজিরাকেও সমন পাঠানো হয়। রুজিরা হাজিরা না দিলেও ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন অভিষেক। এক রাউন্ড জিজ্ঞাসাবাদের পর ফের ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। এরপরই ইডি-র সমনে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। তাঁর হয়ে আদালতে সওয়াল করেন সুপ্রিম কোর্টের বর্ষীয়ান আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল। যদিও অভিষেকের আর্জিতে সাড়া দেয়নি আদালত। বরং সব পক্ষের বক্তব্য জানতে চেয়ে জমা দিতে বলেছে আদালত।
এই তদন্ত নিয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। গত ২৮ অগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “কয়লা চুরির জন্য শুধু তৃণমূলকে ধরলে হবে? তৃণমূলের দায়িত্বে কয়লা নয়। কয়লা কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের দায়িত্বে। মাথায় রেখো, এটা রাজ্যের দফতর নয়। তোমার দফতর। একটা ছোট্ট নেংটি ইঁদুর বের করেছো না পকেট থেকে, ওই ইঁদুর তোমার পকেট ফাঁকা করে দিয়েছে। ক্ষমতা থাকলে অভিষেকের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে লড়ো,” বলেন মমতা।
গত বছর পুজোর সময় থেকেই এ রাজ্যজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে কয়লা কেলেঙ্কারি (Coal Scam) নিয়ে। বর্ধমানের দুর্গাপুর-আসানসোল, অন্যদিকে পুরুলিয়ার মতো কোলিয়ারি এলাকায় কোটি কোটি টাকার কয়লা কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অন্যতম মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজি ওরফে লালাকে একাধিকবার জেরা করেছে সিবিআই। একই সঙ্গে এই কেলেঙ্কারির তদন্ত করছে ইডিও।
আরও পড়ুন: Building Collapse: বিকট শব্দে কেঁপে উঠল কড়েয়া, ভেঙে পড়ল বাড়ির একাংশ