দলিত বিরোধী মন্তব্যের জের, এ বার সুজাতাকে শো-কজ কমিশনের
ইতিমধ্যেই তাঁর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে দলিত-বিরোধী দল বলে কটাক্ষ শানিয়ে আক্রমণে নেমে পড়েছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ সুজাতার এই মন্তব্য নিয়ে পালটা তোপ দেগেছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে
নয়া দিল্লি: দলিত বিরোধী মন্তব্য নিয়ে এ বার তৃণমূলের প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল খাঁ-র কাছে জবাব তলব করল নির্বাচন কমিশন। বিজেপি নেতা মুক্তার আব্বাস নকভি এই বিষয়ে কমিশনের নালিশ জানিয়ে কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন সুজাতাকে এ দিন নোটিস দিয়ে এহেন মন্তব্যের কারণে দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর কাছে জবাব তলব করা হয়েছে।
ঠিক কী বলেছিলেন সুজাতা? কমিশনের নোটিসে লেখা রয়েছে তাঁর সেই মন্তব্য। তৃণমূলের এই প্রার্থীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “দলিত পরিবারগুলির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতই সাহায্য করুক না কেন, তাঁদের মুখে সবসময় অভাবের কথা শোনা যায়। এই অভাব যাবে না। কথায় আছে, অভাবে নয় স্বভাবে গরিব। এখানকার দলিতরাও স্বভাবে গরিব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদের এতভাবে সাহায্য করা সত্ত্বেও বিজেপির কাছে ওরা মোটা টাকায় বিক্রি হয়ে গিয়ে এখনও আমাদের উপর অত্যাচার করছে।”
তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের নিয়ে করা এই মন্তব্যের জেরেই এ দিন সুজাতাকে নোটিস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বিজেপি যদিও ইতিমধ্যেই তাঁর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে দলিত-বিরোধী দল বলে কটাক্ষ শানিয়ে আক্রমণে নেমে পড়েছে। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ সুজাতার এই মন্তব্য নিয়ে পালটা তোপ দেগেছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ বার সোজা কমিশনের নোটিস এল সুজাতার ঘরে।
আরও পড়ুন: অডিয়ো: ‘এসপি ও আইসিকে ফাঁসাতে হবে’, শীতলকুচি কাণ্ডে মমতার ফোনালাপ প্রকাশ্যে আনল বিজেপি
তবে এই নির্বাচন কমিশন চলতি বিধানসভা ভোটে একটা বিষয় খুব পরিষ্কারভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে। আলপটকা মন্তব্য, যা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে তা কোনওভাবে বরদাস্ত করা হবে না। প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল। এরপর একে একে রাহুল সিনহা ও দিলীপ ঘোষরাও কমিশনের ‘শাস্তির’ মুখে পড়েছেন। একাধিক নেতাকে নোটিস দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। এ বার সুজাতার বিরুদ্ধেও একই ধরনের পদক্ষেপ করা হয় কিনা সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: দিনে ১৫ ঘণ্টা প্রচারে নিষেধাজ্ঞা ভোটবঙ্গে, করোনা সামলাতে কড়া কমিশন