Farmers Protest: এমএসপির আইনি গ্যারান্টি নিয়ে নাছোড়, ‘সংসদ চলো’ অভিযানের ডাক কৃষক সংগঠনের
Farmer's 'Sansad Chalo' Movement: এদিনের আলোচনাতেও কৃষক সংগঠনের তরফে স্থির করা হয়, আইন সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার না হওয়া অবধি আন্দোলন জারি রাখা হবে।
শুক্রবার, গুরু নানক জয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ঘোষণা করেছিলেন কৃষি আইন প্রত্যাহারের (Farm Laws Repealed)। একইসঙ্গে অনুরোধ জানিয়েছিলেন, কৃষকরা এ বার যেন নিজেদের ঘরে, নিজেদের ক্ষেতে ফিরে যান। তবে কৃষক নেতা রাকেশ তিকাইত সেদিনই জানিয়ে দিয়েছিলেন, এখনই আন্দোলনে ইতি টানা হচ্ছে না। সংসদ অধিবেশনে আইন প্রত্যাহারের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়া অবধি আন্দোলন জারিই থাকবে। এরপর সংযুক্ত কিসান মোর্চার তরফেও শনি ও রবিবার বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, এই বৈঠকেই কৃষক আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা হবে।
এ দিন সিংঘু সীমান্তে আন্দোলনকারীরা জমায়েত হলেও শেষ মুহূর্তে বৈঠক বাতিল করে দেওয়া হয়। আগামী ২৭ নভেম্বর এই বৈঠক হবে বলে জানানো হয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের আগে কৃষি আইন প্রত্যাহারের বিষয়ে মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদন মিলতে পারে। আগামী বুধবার মন্ত্রিসভার যে বৈঠক রয়েছে, সেই বৈঠকেই কৃষি আইন প্রত্যাহারের কাজ আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
কেন্দ্রের তরফে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তার উপর ভিত্তি করেই কৃষক আন্দোলন জারি রাখা হবে কিনা, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মাঝের এই কয়েকটি দিনে যাবতীয় কর্মসূচি চালু থাকবে বলেই জানানো হয়েছে।
শনিবার কৃষক সংগঠনগুলির মধ্যে যে বৈঠক হয়, তাতে প্রধানমন্ত্রীকে একটি খোলা চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই চিঠিতে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি গ্যারান্টির পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিল ২০২০-র সংশোধনী প্রস্তাব পাশ, কৃষকদের বিরুদ্ধে দায়ের যাবতীয় এফআইআর তুলে নেওয়া ও আন্দোলনকারী যে ৭০০ কৃষকের মৃত্যু হয়েছে, তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হবে।
এদিনের আলোচনাতেও কৃষক সংগঠনের তরফে স্থির করা হয়, আইন সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার না হওয়া অবধি আন্দোলন জারি রাখা হবে। সংযুক্ত কিসান মোর্চার তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কৃষক আন্দোলন নিয়ে যে সমস্ত কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হয়েছিল, তার সবকটিই কার্যকর থাকবে। আগামিকাল লখনউয়ে যে মহাপঞ্চায়েত হওয়ার কথা ছিল, তা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ীই হবে। ২৪ নভেম্বর কিসান মজদুর সংঘর্ষ দিবস পালন করা হবে এবং ২৬ নভেম্বর কৃষক আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্য়ে একটি পদযাত্রার আয়োজন করা হবে। একইসঙ্গে ২৯ নভেম্বর ‘সংসদ চলো’ অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে।
এ দিনের বৈঠকে সংযুক্ত কিসান মোর্চার তরফে তেলঙ্গনা সরকারের বিশেষ প্রশংসা করা হয়। মৃত কৃষকদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণার প্রশংসা করে তারা বলেন, “নরেন্দ্র মোদী বা তাঁর সরকার ৭০০ জন কৃষকের এই আত্মত্যাগের গুরুত্ব বোঝে না। এই অন্নদাতারাই আসল তপস্য়া করেছিলেন আন্দোলনের মাধ্যমে।”
আরও পড়ুন: AITC Tripura: ত্রিপুরায় তুলকালাম! সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ জানাতে পারে তৃণমূল