AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘৫ মাসে ৪ বার ধর্ষণ করেছে’, হাতে পুলিশ অফিসারের নামে সুইসাইড নোট, আত্মহত্যা মহিলা চিকিৎসকের

Physical Assault: এক মহিলা চিকিৎসক আত্মহত্যা করেন।  নিজের বাম হাতে তিনি সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছেন। সেখানে তিনি এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ লিখে গিয়েছেন। ওই পুলিশ অফিসারের লাগাতার হেনস্থাতেই তিনি নিজের প্রাণ নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে উল্লেখ করে গিয়েছেন।

'৫ মাসে ৪ বার ধর্ষণ করেছে', হাতে পুলিশ অফিসারের নামে সুইসাইড নোট, আত্মহত্যা মহিলা চিকিৎসকের
প্রতীকী চিত্র।Image Credit: X
| Updated on: Oct 26, 2025 | 6:45 AM
Share

মুম্বই: মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যু ঘিরে রহস্য। চিকিৎসকের হাতে লেখা ছিল সুইসাইড নোট। তাতেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে গিয়েছেন ওই চিকিৎসক। লিখেছেন, ৫ মাসে তাঁকে ৪ বার ধর্ষণ করেছেন পুলিশের এক সাব-ইন্সপেক্টর। বিষয়টি সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর।

ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলায়। এক মহিলা চিকিৎসক আত্মহত্যা করেন হোটেল রুমে। আত্মহত্যার আগে নিজের বাম হাতে তিনি সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ লিখে গিয়েছেন। ওই পুলিশ অফিসারের লাগাতার হেনস্থাতেই তিনি নিজের প্রাণ নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে উল্লেখ করে গিয়েছেন। বিষয়টি সামনে আসতেই অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ওই মহিলা চিকিৎসক এর আগে জুন মাসেও পল্টনের ডেপুটি সুপারিন্ডেন্টেন্ট অব পুলিশের কাছে চিঠি লিখে ওই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন। সেই সময় তিনি তিনজন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন। আইনি পদক্ষেপের দাবিও করেছিলেন।

যদিও কোনও ব্যবস্থাই করা হয়নি বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাতে ওই মহিলা চিকিৎসক জেলা হাসপাতালে আত্মহত্যা করেন। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের নির্দেশেই এরপর অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়।

এদিকে,এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যে তুমুল রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। কংগ্রেস নেতা বিজয় ওয়াদ্দেয়ার লিখেছেন, “যেখানে রক্ষকই ভক্ষক হয়ে যায়! পুলিশের ডিউটি সুরক্ষা দেওয়া, কিন্তু তারাই যদি মহিলা চিকিৎসককে হেনস্থা করেন, তাহলে বিচার কীভাবে হবে? ওই যুবতী যখন আগে অভিযোগ জানিয়েছিলেন, তাহলে কেন কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি? মহাযুতি সরকার পুলিশকে আড়াল করছে। শুধু এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া যথেষ্ট নয়। অভিযুক্ত অফিসারদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে।”