Durg-Puri Express: বড় দুর্ঘটনা এড়াল পুরী এক্সপ্রেস, সেই ওড়িশাতেই এসি কামরায় ধরে গেল আগুন
Durg-Puri Express fire: বৃহস্পতিবার (৮ জুন) রাতে ওড়িশার খারিয়ার রোড স্টেশনের কাছে অল্পের জন্য বড় বিপর্যয় এড়াল দুর্গ-পুরী এক্সপ্রেস। রাত ১০টা নাগাদ ওই ট্রেনটির এসি কামরায় আগুন লেগে যায়।

ভুবনেশ্বর: ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে। এখনও সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি দেশ। এর মধ্যে ফের বৃহস্পতিবার রাতে সেই ওড়িশারই খারিয়ার রোড স্টেশনে অল্পের জন্য বড় বিপর্যয় এড়াল দুর্গ-পুরী এক্সপ্রেস। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ, ১৮৪২৬ দুর্গ-পুরী এক্সপ্রেসের এসি কামরায় আগুন লেগে যায়। সেই সময় ট্রেনটি ওড়িশার নোয়াপাড়া জেলার খারিয়ার রোড স্টেশনের কাছে ছিল। জানা গিয়েছে, আগুন লাগে ট্রেনের বি৩ কামরায়। কেউ একজন অ্যালার্ম চেইন টেনেছিলেন। কিন্তু, তারপরও ট্রেনটি ব্রেক না লাগাতেই এই ঘটনা ঘটে। ব্রেকগুলি সম্পূর্ণভাবে মুক্তি না পাওয়ায়, ঘর্ষণের কারণে ব্রেক প্যাডগুলিতে আগুন ধরে যায় বলে জানিয়েছেন রেলকর্তারা।
ओडिशा में ट्रेन में लगी आग..बड़ा हादसा टला Fire reported in Durg-Puri Express; Fire Services personnel bring fire under control; train resumes journey after fire is brought under control#Odisha | #fire #TRAIN pic.twitter.com/e3L6vc6YJQ
— Dhananjay Mandal (@dhananjaynews) June 9, 2023
পূর্ব উপকূল রেলওয়ে জানিয়েছে, এই ঘটনার ফলে কারও কোনও আঘাত লাগেনি বা অন্য কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কারণ আগুন শুধুমাত্র ব্রেক প্যাডেই দেখা গিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে ট্রেনটি সেখানেই থামিয়ে দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করা হয়। এতে প্রায় ঘণ্টাখানেক দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ট্রেনটিকে। সমস্যা দূর হলে, রাত ১১টায় ফের যাত্রা শুরু করে দুর্গ-পুরী এক্সপ্রেস।
VIDEO | A fire was spotted in an air-conditioned coach of Durg-Puri Express on Thursday night in Odisha’s Nuapada district, leaving passengers scared, the East Coast Railway said. No casualties were reported from the incident. pic.twitter.com/xx3zM3TvFz
— Press Trust of India (@PTI_News) June 9, 2023
এর আগে ৭ জুন, ওড়িশার জজপুর কেওনঝার রোড রেলওয়ে স্টেশনে একটি পণ্যবাহী ট্রেনের তলায় পড়ে ছয় রেল-শ্রমিক নিহত এবং আরও দুইজন গুরুতর আহত হন। ভারি বৃষ্টির কারণে ওই শ্রমিকরা মালগাড়িটির নীচে আশ্রয় নিয়েছিলেন। আচমকা দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িটি বাতাসের প্রবল ধাক্কায় গড়াতে শুরু করেছিল। রেলের এক মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, আচমকা ঝড়-বৃষ্টি এবং প্রবল বজ্রপাত শুরু হয়েছিল। ওই শ্রমিকরা সেই সময় রেলওয়ের সাইডিংয়ে কাজ করছিলেন। সেখানে একটি পণ্যবাহী ট্রেন দাঁড়িয়েছিল। শ্রমিকরা সেটির নীচে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, ইঞ্জিন সংযুক্ত না থাকা অবস্থাতেই মালগাড়িটি গড়াতে শুরু করে এবং এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। তার আগে গত শুক্রবার (২ জুন), ওড়িশায় বালেশ্বরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি পণ্যবাহী ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষে এক ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছিল। এই ঘটনায় ২৮৮ জন নিহত এবং প্রায় ১১০০ জন আহত হয়েছেন।
