Fire: ঘুমের মধ্যেই আগুনে পুড়ে মৃত ৪ নাবালিকা, গুরুতর জখম আরও ৬
অগ্নিদগ্ধ এই পরিবারেরই সদস্য মুকেশ রাম জানান, সোমবার রাতে হঠাৎ করেই প্রচণ্ড ধোঁয়ায় ঘুম ভাঙে। তখন দেখেন, গোটা বাড়ি জ্বলছে।

মুজফফরপুর: ঘুমের মধ্যেই আগুনে (Fire) দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল একই পরিবারের এক তরুণী সহ ৪ নাবালিকার। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও ৪ শিশু সহ ৬ জন। সোমবার রাতে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের (bihar) মুজফফরপুর জেলার রামদয়ালু স্টেশন সংলগ্ন একটি বাড়িতে। সোমবার রাতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও মাঝরাত কী ভাবে বস্তি এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। মৃতদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে মুজফফর (Muzaffarpur) প্রশাসন।
পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম সোনি কুমারী (১৭), অমৃতা কুমারী (১২), কবিতা কুমারী (৮) এবং শিবানী কুমারী (১২)। এঁরা সকলেই দিল্লিতে দিনমজুর হিসাবে কর্মরত নরেশ রামের পরিবারের সদস্য। দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, ওই পরিবারেরই সদস্য রাকেশ রামের স্ত্রী বেবী দেবী (৩০) সহ তিন সন্তান প্রকাশ কুমার (৮), বিকাশ কুমার (৭) এবং আকাশের (৪) গুরুতর জখম হয়েছেন। এছাড়া পরিবারের আরেক সদস্য মুকেশ রামের ১০ বছর বয়সি সন্তান কিষাণ কুমার ও ১৭ বছরের মেয়ে মণীশা অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। বর্তমানে তারা সকলে SKMC হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরিবারে সকলে ঘুমের মধ্যে থাকাকালীন বাড়িটিতে এলাকায় কী ভাবে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অগ্নিদগ্ধ এই পরিবারেরই সদস্য মুকেশ রাম জানান, সোমবার রাতে হঠাৎ করেই প্রচণ্ড ধোঁয়ায় ঘুম ভাঙে। তখন দেখেন, গোটা বাড়ি জ্বলছে। প্রথমে তাঁরা নিজেরাই জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ায় দমকলে খবর দেওয়া হয়। তারপর দমকলের ৬টি ইঞ্জিনের সারারাতের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান এসডিএম এবং ডিএসপি টাউন সহ পুলিশ বাহিনী। তারপর পুলিশ ও দমকলকর্মী অগ্নিদগ্ধ দেহগুলি উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠায় এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। এদিন সকালে এই অগ্নিকাণ্ডে মৃতদের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে মুজফফরপুর জেলা প্রশাসন।
