
কলকাতা: গেরুয়া ঝড়ে ধরাশায়ী মহাগাঁটবন্ধন। ভারতবর্ষের ইতিহাসে এমন স্ট্রাইক রেট কোনও নির্বাচনে কোনও দলের নেই। এখনও পর্যন্ত বিহারের ভোটের যা হিসাব তাতে তথ্য বলছে ৯৪.৫৯ শতাংশ আসনে জয় এসেছে বা এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। অর্থাৎ প্রায় ৯৫ শতাংশ। ১০১ টি আসনে ভোটে লড়ে বিজেপির দখলে ৯৫ আসন। সেখানে শরিক জেডিইউ লড়েছিল ১০১টি আসনে। সেখান ৮৪টি আসনে এগিয়ে রয়েছে বা এর মধ্যে অনেক আসনেই জয় এসেছে। অর্থাৎ স্ট্রাইক রেট ৮৪.১৫ শতাংশ।
এদিকে ইতিহাস বলছে ১৯৮৪ সালের লোকসভা ভোটে বিশাল রেকর্ড করেছিল কংগ্রেস। সেইবার ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর পরের ভোটে কংগ্রেস ৫১৪ আসনের মধ্যে ৪০৪ টি জিতেছিল। ৭৮.৬ শতাংশ। কিন্তু এবর বিহারের বিধানসভা নির্বাচন যেন সব চেনা ছক এক্কেবারে ওলট-পালট করে দিয়েছে। ম্যাজিক ফিগার যেখানে ১২২ সেখানে একাই এনডিএ জোট ডাবল সেঞ্চুরি।
জোট করেও আরজেডি-র পকেটে কোনওমতে ২৪ আসন, কংগ্রেস ৫, বামেদের হাল আরও খারাপ। এগিয়ে থাকা বা জয়ের নিরিখে এই ছবিই সামনে এসেছে। বিগত কয়েকটি নির্বাচনে চোখ ধাঁধানো ফলের পর সিপিআইএমএল লিবারেশন এখন মাত্র একটিতে এগিয়ে। সেখানে সিপিএমের ছবিও একই। খাতাই খুলতে পারেনি কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া বা সিপিআই। বিরোধী শিবিরে এই কাঁপুনি ধরানো জয়ের পর দেশজুড়েই উল্লাসে মেতেছেন পদ্ম কর্মীরা। বাংলায় আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে নতুন করে অক্সিজেন পাচ্ছেন শুভেন্দু-সুকান্ত-দিলীপ-শমীকরাও। বিজেপি বলছে, বিহারে হয়েছে এবার বাংলাতেও হবে। তবে কুণাল ঘোষ যদিও বিজেপিকে ‘অলীক কল্পনা’ করতে ‘নিষেধ’ করছেন। এখন শেষ পর্যন্ত বাংলার নির্বাচনে ফলাফল কী দাঁড়ায় সেটাই দেখার।