
কলকাতা: ছোট থেকে স্বপ্ন ছিল ভারতীয় সেনার পোশাক চড়ানোর। দীর্ঘ অধ্যাবসায়, কঠোর পরিশ্রমকে পাথেয় করেই শেষ পর্যন্ত সেই স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। সেই কাশ্মীরির হাতই শক্তি জোগাচ্ছে ভারতের আকাশপথকে। ইতিমধ্যেই অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিয়েছে ভারত। ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পাক মাটিতে থাকা লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীর হেডকোয়ার্টার। মুখের ওপর জবাব যাকে বলে আর কি! ভারতীয় বায়ুসেনার একটা মিশন কার্যত ছারখার করে দিয়েছে পড়শি পাকিস্তানের আত্মবিশ্বাসের ন্যূনতম খাঁচাটাই। পাক সংসদে সাংসদের কান্নাকাটি, হুলস্থূল কান্ড। দেশের অভ্যন্তরেই প্রশ্নের মুখে শহবাজ শরিফ সরকারের ভূমিকা।
একটা দেশের আত্মবিশ্বাসকে কীভাবে দুমড়েমুচড়ে আকাশপথেই শেষ করা যায়, তা দেখিয়ে দিয়েছে ভারতের বায়ু সেনা। আর বায়ু সেনার এই সাফল্যের অলক্ষ্যে রয়েছেন এক কাশ্মীরি যুবক। যিনি ভারতের আকাশপথের জবাবকে নিয়ে গিয়েছেন অন্য উচ্চতায়। তিনি হিলাল আহমেদ। অনন্তনাগে জন্ম। বড় হওয়াটা অশান্ত কাশ্মীরকে দেখতে দেখতেই। ছোট থেকে স্বপ্ন ছিল ভারতীয় সেনার পোশাক চড়ানোর। স্বপ্ন সত্যি হল। ধীরে ধীরে। হিলাল আহমেদ এখন বায়ুসেনার এয়ার ভাইস মার্শাল।
একনজরে হিলালের কীর্তি
১. প্রথম ভারতীয় হিসেবে রাফাল চালান হিলাল
২. ৩০০০ ঘন্টা বিনা দুর্ঘটনায় চালিয়েছেন যুদ্ধ বিমান
৩. মিরাজ ২০০০, মিগ২১ সহ বহু যুদ্ধবিমান চালানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর ঝুলিতে
৪. ঐতিহাসিক রাফাল চুক্তির সময় হিলালের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয় এখনও। ফ্রান্স থেকে ভারতে রাফাল উড়িয়ে এনে ছিলেন এই হিলাল।
যদিও অপারেশন সিঁদুরে সরাসরি যুক্ত ছিলেন না হিলাল। কিন্তু এখন বারবার হিলালের অবদানের কথা ঘুরে ফিরে আসছে বায়ুসেনা মহলে। কারণ, হিলাল নাকি এ ধরনের আকাশপথে অপারেশনের নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছিলেন বলে খবর। আকাশপথে আক্রমণ কতটা আধুনিক হতে পারে তা নতুন প্রজন্মকে শিখিয়েছেন এই এয়ার ভাইস মার্শাল। সে কারণেই প্রথম ভারতীয় হিসেবে রাফাল চালানোর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হিলাল এখন জোরদার চর্চায়।