ঝাড়খন্ড: পাঁচদিন পর ফের মৃত্যু। ইসিএলের কয়লা খনিতে (Mine Accident) অবৈধভাবে কয়লা কাটতে গিয়ে মৃত্যুর হল শ্রমিকের। ইসিএলের খোলামুখ খনিতে ঘটে যায় দুর্ঘটনা। পাণ্ডবেশ্বরের পর এবার ঝাড়খণ্ডের নিরসার ঘটনা। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের নিরসায় ইসিএলের বন্ধ থাকা রাবনসিড়ি নামক খনিতে মঙ্গলবার এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ইসিএলের মুগমা এরিয়াতে রাবনসিড়িতে অবৈধ ভাবে কয়লা কাটার সময় ঘটে বিপত্তি। জানা যাচ্ছে সেই সময় কয়লার চাঙর ভেঙে পড়ে। ধস নামে। অভিযোগ, ধসে চাপা পড়ে যায় প্রায় কুড়ি থেকে বাইশ জন। যার মধ্যে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত পাঁচ জনের জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা গিয়েছে। ঘটনায় আরও ছয় জনের নাম জানতে পেরেছে নিরসা থানার পুলিশ। এখনও আশঙ্কা রয়েছে দশ থেকে বারো জন হয়ত ধসের নিচে চাপা পড়ে থাকতে পারেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ইসিএলের মাইনস রেসকিউ টিম। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নিরসার প্রাক্তন সিপিআই বিধায়ক অরূপ চট্টোপাধ্যায়।
অরূপ বাবুর অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসনের একাংশের মদতে মাফিয়াদের সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় অবৈধ ভাবে কয়লা কাটা ও উত্তোলনের কাজ চলছে। আর এর মাসিক টাকা কারা নেয় বা কাদের অঙ্গুলি হেলনে এই অবৈধ ব্যবসা চলছে তাও প্রত্যেকের জানা।
ঘটনাস্থলে পৌঁছায় স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক অপর্ণা সেনগুপ্ত। তিনি এই ঘটনার জন্য ইসিএল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেই দায়ি করেছেন। তাঁর দাবি সিআইএসএফ বা ইসিএলের নিরাপত্তারক্ষী থাকতেও বহিরাগতরা কেন খনিতে ঢুকবে তা কর্তৃপক্ষের দেখা উচিত।
প্রসঙ্গত, মাত্র কয়েকদিন আগেই পশ্চিম বর্ধমান জেলার পাণ্ডবেশ্বর এলাকায় অবৈধ কয়লা কাটতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল চার জনের। সূত্রের খবর, ওই খোলামুখ কয়লা খনিতে অবৈধ ভাবে কয়লা কাটার জন্য পুরুলিয়া থেকে মালকাটার নিয়ে আসা হয়েছিল। কয়লা উত্তোলনের পর সেই কয়লা পাঠিয়ে দেওয়া হয় এখন আসানসোলে। যার প্রমাণ ঝাড়খণ্ড থেকে আসা ৩৪ টি অবৈধ কয়লার লরি ধরা পড়েছিল কুলটি ও সালানপুর পুলিশের হাতে।