Mine Accident in Durgapur: কয়লা চুরি করতে গিয়েই বিপদ! খনিতে মৃত্যু একই পরিবারের চারজনের
Mine Accident in Durgapur: জল জমে যাওয়ায় নরম হয়ে গিয়েছিল মাটি। সেই মাটি ধসেই মৃত্যু হয়েছে একই পরিবারের চারজনের।
দুর্গাপুর : ইসিএলের খোলামুখ খনিতে বেআইনি ভাবে কয়লা তোলার সময় ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হল একই পরিবারের চারজনের, আশঙ্কাজনক আরও এক। বুধবার সকালেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্গাপুর-ফরিদপুরে মাধাইপুর খনিতে এই ঘটনা ঘটে। আহত কিশোরকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। ঘটনাস্থয়ে রয়েছে পুলিশ বাহিনী।
ইসিএলের ওই মাধাইপুর খনিতে জল জমার কারণে বর্তমানে কয়লা তোলার কাজ বন্ধ রয়েছে। এই সুযোগে চোরা পথে কয়লা কেটে বিক্রি করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে চলছে সেই কাজ। এ দিনও সেই একই কারণে ওই খনির কাছে গিয়েছিল ওই পরিবারের সদস্যরা।
বুধবার ভোরে কয়লা কাটতে গিয়েছিলেন ওই পরিবারের পাঁচজন। কিন্তু জল জমার কারণে আশেপাশের মাটি নরম হয়েছিল। কয়লা তোলার সময় সেই মাটি চাপা পড়েই মৃত্যু তাঁদের। পরিবারের চার জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃত চারজনের নাম শ্যামল বাউরি, পিঙ্কি বাউরি, নটবর বাউরি ও আন্না বাউরি। গুরুতর আহত কিশোর বাউরিকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। এ ছাড়াও ঘটনাস্থলে যান আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি অভিষেক গুপ্তা ও অন্ডালের এসিপি তাহের আনোয়ার। জেসিপি মেশিনের সাহায্যে উদ্ধারকাজ করা হয়। পরে একে একে উদ্ধার হয় চারজনের মৃতদেহ।
পাণ্ডবেশ্বরের বিধায় নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানান, এরা কয়লা কাটতে এসেছিল সকালে, সেই সময় ধস নামে। ধসে চাপা পড়ে যায় পাঁচজন। খবর পেয়েই পুলিশ যায়। একজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, অভাবের তাড়নায় এলাকার অনেক মানুষই এই কাজ করে। এ দিনও ওই পরিবার টাকার জন্য বেআইনিভাবে কয়লা তুলতে এসেছিল খনিতে। ভবিষ্যতে ফের এই ধরনের ঘটনার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রাথমিক ভাবে ধসের কারণে মৃত্যু বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে আসল কারণ জানার চেষ্টা করছেন আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে খনিতেই তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হয় ইসিএলের এক আধিকারিকের। আসানসোলের কেন্দা খনির ২ নম্বর পিটে ভরাটের কাজ দেখতে গিয়েছিলেন ওই ইসিএলের আধিকারিক। ওই খনিগর্ভেই আগুন জ্বলছিল কয়েকদিন ধরে। সেখানেই মাটির নীচে তলিয়ে যান ইসিএলের সিনিয়র ওভারম্যান অজয় কুমার মুখোপাধ্যায়। রাতের অন্ধকারে সেই ঘটনাটি ঘটে। ওই খনিতে বারবার আগুন গেলে যায়।
আরও পড়ুন : TMC on Buddhadeb Bhattacharya: বাম-ভোটারদের ‘থ্যাংকস’ জানাল বিজেপি! রাম-বাম আঁতাতের তত্ত্ব বোঝাল তৃণমূল
আরও পড়ুন : Purulia Howrah Express Train: শিক্ষা দিল দোমনির ট্রেন দুর্ঘটনা, নতুন কোচ পেল পুরুলিয়া-হাওড়া এক্সপ্রেস