Tiger Attack in Sundarban: ৩ দিনে ৩ জন মৎস্যজীবীর প্রাণ গেল অকালে, সুন্দরবনে ক্রমেই ভয়াল হচ্ছে ডোরাকাটার আক্রমণ!
Sundarban: থাবা মেরে ঝাঁপিয়ে পড়ে ওই মৎস্যজীবীর উপর। এক লহমায় তাঁকে হিড়-হিড় করে টেনে নিয়ে যায় গভীর জঙ্গলে।
সুন্দরবন: এই নিয়ে তিন দিনে তিনজন মৎস্যজীবী বাঘের হামলার শিকার। আবারও কাঁকড়া ধরতে গিয়ে মৎস্যজীবীকে জঙ্গলে তুলে নিয়ে গেল বাঘ। এর আগে পরপর দু’দিন একই ঘটনা সামনে আসে। তখনও নৌকায় ঝাঁপিয়ে পড়ে মৎস্যজীবীকে জঙ্গলে টেনে নেয় রয়্যাল বেঙ্গল।
পেটের দায় যে বড় দায়। পরিবারের মুখে দুবেলা দুমুঠো অন্ন তুলে দিতেই তাই প্রতিনিয়ত দরিদ্র মৎস্যজীবীদের ছুটতে হয় সুন্দরবনের নদীখাঁড়িতে কাঁকড়া ধরতে।আর এই কাজ করতে গিয়ে বাঘের হামলায় প্রাণ গিয়েছে বহু মৎস্যজীবীর। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল চিত্ত সরকারে নামও। মঙ্গলবার সকালে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে ভয়ঙ্কর বিপদে পড়েন গোসাবা ব্লকের ওই বাসিন্দা। কাঁকড়া ধরেই পরিবারের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে কোনও রকম দিনযাপন করেন তিনি।
যেভাবে হল আক্রমণ
সূত্রের খবর, সোমবার ভোরে সুবল মণ্ডল ও সুব্রত কয়ালকে নিয়ে নৌকায় চেপে ঝিলার ৪ নম্বর জঙ্গলের চিলমারী খালে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন। প্রথমদিন বেশকিছু কাঁকড়াও ধরেছিলেন। এরপর মঙ্গলবার সকালে ঝিলা ৪ নম্বর জঙ্গলের চিলমারী খালের নদীখাড়িতে আনমনে কাঁকড়া ধরছিলেন ওই মৎস্য়জীবী। সেই সময় সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ অরণ্য থেকে একটি বাঘ বেরিয়ে আসে। সরাসরি টার্গেট করে মৎস্যজীবী চিত্ত সরকারকে। সকলের অলক্ষ্যে নিঃশব্দে আচমকা নৌকায় ঝাঁপ দেয় বাঘ। থাবা মেরে ঝাঁপিয়ে পড়ে ওই মৎস্যজীবীর উপর। এক লহমায় তাঁকে হিড়-হিড় করে টেনে নিয়ে যায় গভীর জঙ্গলে। সঙ্গীকে বাঁচানের জন্য কাঁকড়া ধরার শিক, লাঠি আর নৌকার বৈঠা নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা চালায় দুই সঙ্গী।
কিন্তু নাছোড়বান্দা বাঘ তার শিকার নিয়ে গভীর জঙ্গলে পালিয়ে যায়। কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরে আসেন সঙ্গী দুজন। বাঘের মুখ থেকে দেহ ছিনিয়ে আনার সাহস হয়নি তাঁদের। তবে ফিরে এসেই গ্রাম ঘটনার খবর দেন তাঁরা। এমন মর্মান্তিক খবর পেয়ে কান্না ভেঙে পড়েন বাঘের কবলে পড়া ওই মৎস্যজীবীর পরিবারের সদস্যরা। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
আরও পড়ুন: BSF training: পাক ড্রোনের অনুপ্রবেশ রোধে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষকে প্রশিক্ষণ বিএসএফের